বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি নিম্ন আয়ের মানুষের
বগুড়ার খোলা বাজারের দিন দিন চাল আটার ক্রেতা বাড়ছে
স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ার খোলা বাজারে (ওএমএস)চাল আটা বিক্রি কেন্দ্র গুলোতে দিন দিন ভীড় বাড়ছে। সকাল ৯ টা থেকে কেন্দ্র খোলা হলেও শ্রমজীবী মানুষেরা আরও আগে এসে কেন্দ্রের সামনে লাইন করে দাড়াচ্ছে। বরাদ্দ সীমিত হওয়ায় অনেকেই চাল আটা না নিয়ে ফিরে যাচ্ছে। ফলে নিম্ন আয়ের মানুষদেরকে বেশি দাম দিয়ে বাজার থেকে চাল কিনে খেতে হচ্ছে।
সরকার চাল ও আটার বাজার গণমানুষের নাগালের মধ্যে রাখতে খোলা বাজারের চাল ও আটা বিক্রি করছে। বগুড়া সদরে ১৮টি পয়েন্টে খোলা বাজারে চাল ও আটা বিক্রি করা হচ্ছে। বগুড়া সদরের আওতায় কলোনী বাজার, মাটিডালী বাজার, নিশ্চিন্তপুর, সাবগ্রাম, মানিকচক, বনানী বাজার, গোদারপাড়া বাজারসহ প্রতিটি কেন্দ্রেই উপচে পড়া ভীড় থাকছে। এর বাইরেও যে সব কেন্দ্র আছে তাতেও একই অবস্থা।
শহরের কলোনীস্থ বিক্রয় কেন্দ্রে সকাল থেকে লাইনে থাকা দিন মজুর হাফিজার রহমান জানান, তিনি প্রতিদিন কাজে যাওয়ার আগে চাল কিনে বাড়িতে দিয়ে তার পর কাজে যান। একারনে তিনি সকাল ৯টার আগে এসে লাইনে দাড়ান। শহরতলীর নিশ্চিন্তপুর কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় কেন্দ্রের সামনে প্রচন্ডভীড়। নারী পুরুষ উভয়ে লাইন ছিলো শতাধিক ক্রেতা, যারা সকাল ৯টা বাজার আগেই কেন্দ্রের সামনে এসেছে। চাল কিনতে আসা আব্দুর রহমান জানান, তিনি বগুড়া শহরের একটি কারখানায় চাকরি করেন। সকাল ১০ টার মধ্যে তাকে চাল কিনতে হবে। চাল বাড়িতে দিয়ে তার পরতিনি বগুড়া শহরে যাবেন। একই ভাবে রাজমিস্ত্রী মিলন, আসাদুল তারাও জানান, কাজে যাওয়ার আগে চাল কিনে বাড়িতে কেলে যাওয়ার জন্য তিতারা সকাল সকার চাল কিনতে আসেন। এই কেন্দ্রের ক্রেতারা খেলঅ বাজারের চাল ও আটার বরাদ্দ বাড়ানোর আহবান জানান।
আরও পড়ুনবগুড়া সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. হারুর অর রশিদ জানান, সদরের ১৮ ডিলারের মাধ্যমে আটা ও চাল বিক্রি করাহচ্ছে। প্রতিািদন একটি কেন্দ্রে এক টন করে চাল ও আটা বিক্রি করা হচ্ছে। সরকারি বরাদ্দ অনুযায়ী ডিলারদের চাল আটা সরবরাহ করা হচ্ছে। চাহিদা থাকলেও সরকারি সিদ্ধান্তের বাইরে বেশি দেওয়া সম্ভব নয়।
মন্তব্য করুন

নিউজ ডেস্ক



_medium_1764781846.jpg)




