বাবুগঞ্জে ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত এক
বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায় ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষে রবিউল ইসলাম (২৬) নিহতের ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ১২ জন আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে বরিশাল সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. ফারুক হোসেন শুনানি শেষে তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
নিহত রবিউল ইসলাম বাবুগঞ্জ উপজেলার বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের আগরপুর গ্রামের প্রবাসী মিজানুর হাওলাদারের ছেলে। তিনি কিছুদিন আগে ঢাকা থেকে স্থায়ীভাবে এলাকায় ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে গ্রামে ফিরেছিলেন।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবির একটি রায়কে কেন্দ্র করে এলাকায় মিষ্টি বিতরণ শুরু হয়। এই মিষ্টি বিতরণকে ঘিরে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে প্রতিপক্ষ গ্রুপটি ধারালো অস্ত্র, চাকু, সুইচ গিয়ার, লোহার রড ও লাঠিশোটা নিয়ে রবিউল ইসলামের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
হামলায় গুরুতর আহত রবিউলকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে হালিমা মান্নান মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর নিহতের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফিরে দাফন সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে সিসিটিভি ফুটেজ এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্যের ভিত্তিতে জড়িতদের শনাক্ত করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলার আসামিরা ইতিপূর্বে উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিনে ছিলেন।
আরও পড়ুনআদালতের বেঞ্চ সহকারী কামরুল ইসলাম জানান, উচ্চ আদালতের জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় সোমবার ১২ জন আসামি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে উপস্থিত হয়ে স্থায়ী জামিনের প্রার্থনা করেন। তবে উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালতের বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে সকল আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কারাগারে পাঠানো আসামিরা হলেন- নাবিদ হাসান শান্ত, মিজানুর রহমান কবিরাজ, মো. বাবুল হাওলাদার, সফিউল আজম শাহিন ফরাজী, এমদাদুল হক মিলন, জহিরুল ইসলাম, সাইদুর রহমান, খান মো. সোহাগ, সফিকুল ইসলাম সবুজ হাওলাদার, রফিক মুন্সি, সুমন বেপারী ও আব্দুল্লাহ হাওলাদার।
এই আদেশের মধ্য দিয়ে রবিউল হত্যার বিচার প্রক্রিয়ায় এক ধাপ অগ্রগতি হলো বলে মনে করছেন নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা।
মন্তব্য করুন

নিউজ ডেস্ক

_medium_1766403651.jpg)
_medium_1766402664.jpg)


_medium_1766400484.jpg)


