ভিডিও সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

প্রকাশ : ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৪:৩৫ দুপুর

সাজেক বন বিভাগ কার্যালয়ে ইউপিডিএফ'র হামলা, লুটপাট

সাজেক বন বিভাগ কার্যালয়ে ইউপিডিএফ'র হামলা, লুটপাট

রাঙ্গামাটির দুর্গম বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকে বন বিভাগের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আশরাফুল আলম নামে এক বনরক্ষী গুরুতর আহত হয়েছেন। ইউপিডিএফ কর্মীরা এ হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বন বিভাগের কর্মকর্তারা।

আজ  সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সাজেক থানায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে এই ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। এর আগে রোববার দুপুরে সাজেকের মাচালং একুইজ্জাছড়ি এলাকায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গড়ে ওঠা বন বিভাগের জমির উপর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে গেলে এই ঘটনার সূত্রপাত হয় বলে জানিয়েছেন বন বিভাগের কর্মকর্তারা।

বনবিভাগের কর্মকর্তারা জানান, উচ্ছেদ অভিযানের এক পর্যায়ে ইউপিডিএফ নেতা সচিব চাকমার নেতৃত্বে ইউপিডিএফ ও একটি ফেডারেশনের নারী কর্মীরা সংঘবদ্ধভাবে লাঠিসোঁটা নিয়ে বনবিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর হামলা চালায়।

পরবর্তীতে তারা মাচালং বাজারে অবস্থিত বন বিভাগের কার্যালয়ে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এ সময় কার্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সরকারি নথিপত্র নষ্ট করা হয় এবং একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। হামলার একপর্যায়ে আশরাফুল আলমকে অপহরণের চেষ্টা করা হলে খবর পেয়ে সেনাবাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠায়।

এ ঘটনার পর হামলাকারীরা গাছ কেটে সাজেক সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। এতে সাজেকে ভ্রমণে আসা শতাধিক পর্যটকসহ সাজেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অতুলাল চাকমার মেয়ের বিয়েতে আগত অতিথিরা দীর্ঘ সময় সড়কে আটকা পড়েন।

খবর পেয়ে সেনাবাহিনী সড়ক থেকে গাছ অপসারণে গেলে একটি ফেডারেশনের নারী কর্মীরা সেনাসদস্যদের সঙ্গে অশোভন আচরণ ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডে জড়ায় বলে অভিযোগ ওঠে। একই সঙ্গে ইউপিডিএফ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন আইডিসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেনাবাহিনীকে জড়িয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারের অভিযোগও করা হয়েছে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত না করে সেনাবাহিনী কৌশলগতভাবে সড়ক থেকে গাছ সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।

আরও পড়ুন

পরে সোমবার দুপুরে এ ঘটনায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন বন কর্মকর্তা মো. আখতারুজ্জামান।

তিনি জানান, আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইউপিডিএফ স্কুলের নামে বনভূমি দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। একাধিকবার নিষেধাজ্ঞা ও নোটিশ দেওয়া সত্ত্বেও জোরপূর্বক স্থাপনা নির্মাণ অব্যাহত রাখা হয়েছে। উচ্ছেদে গেলে আমদের ওপর হামলা ও পরে কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়। সোমবার এ ঘটনায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছি। 

সাজেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অতুলাল চাকমা ঘটনাটি স্বীকার করে বলেন, এই ধরনের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। বহিরাগত কিছু লোক এসে এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছে। মামলা হলে প্রশাসন আইনি ব্যবস্থা নিবে।

সাজেক থানার ওসি তোফাজ্জল হোসেন বলেন, বনবিভাগের অফিসের হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। তদন্তপূর্বক এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পিএসএলের কারণে পেছাতে পারে পাকিস্তানের বাংলাদেশ সফর

রাজশাহী সদর আসনে বিএনপি নেতা মিনুর মনোনয়নপত্র সংগ্রহ

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নৈতিকভাবে এ পদে থাকতে পারেন না: নাহিদ

ওসমান হাদির বাড়িতে পুলিশ মোতায়েন

স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও মেলেনি জহুরার বীরাঙ্গনার সরকারি স্বীকৃতি

বিজয়ের মাসে দেশের গান নিয়ে ব্যস্ত ইয়াসমিন লাবণ্য