ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নতুন গ্যাসকূপে খনন কাজ শুরু, দিনে মিলবে ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস
দেশের জ্বালানি সরবরাহ জোরদারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস গ্যাস ফিল্ডে নতুন একটি গ্যাসকূপের খনন কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড (বিজিএফসিএল) পরিচালিত এই কূপটির খনন উদ্বোধন করা হয় আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর এলাকায় তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ‘সি’ লোকেশনে ২৮ নম্বর কূপের খনন কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পেট্রোবাংলার পরিচালক মো. শোয়েব।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ‘সি’ লোকেশনে গ্যাসের সম্ভাবনা যাচাইয়ে প্রথম জরিপ পরিচালনা করা হয় ২০১২ সালে। পরে ২০২০ সালে ওই জরিপ প্রতিবেদনের আলোকে তিতাস গ্যাস ফিল্ডে তিনটি নতুন কূপ খননের পরিকল্পনা গ্রহণ করে বিজিএফসিএল। একই প্রকল্পের আওতায় গাজীপুরের কামতা গ্যাস ফিল্ডেও একটি কূপ খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিতাস ও কামতা গ্যাস ফিল্ডে মোট চারটি কূপ খননে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা। এসব কূপ থেকে উৎপাদন শুরু হলে প্রতিদিন জাতীয় গ্রিডে প্রায় ৫৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যুক্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বর্তমানে তিতাস গ্যাস ফিল্ডের উৎপাদনে থাকা ২২টি কূপ থেকে প্রতিদিন প্রায় ৩৩৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে।
তিতাসের ২৮ নম্বর কূপটির খনন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে একটি চিনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। খনন সম্পন্ন করতে সময় লাগবে আনুমানিক দুই মাস। কাজ শেষে কূপটি বাণিজ্যিক উৎপাদনে গেলে দৈনিক প্রায় ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ সম্ভব হবে।
আরও পড়ুনউদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পেট্রোবাংলার পরিচালক মো. শোয়েব বলেন, বিজিএফসিএল পরিচালিত গ্যাস ফিল্ডগুলোর উৎপাদন ইতোমধ্যে বেড়েছে। নতুন কূপ খনন ও ওয়ার্কওভার প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে দেশের জ্বালানি সংকট অনেকটাই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।
তিনি আরও জানান, তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ৩১ নম্বর কূপ এবং বাখরাবাদ গ্যাস ফিল্ডের ১১ নম্বর গভীর কূপ খনন প্রকল্পও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পেট্রোবাংলা ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. ফারুক হোসেন, কোম্পানি সচিব মোজাহার আলী, তিতাস ও মেঘনা ফিল্ডে চারটি কূপ খনন প্রকল্পের পরিচালক এ কে এম জসিম উদ্দিনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
মন্তব্য করুন

নিউজ ডেস্ক



_medium_1765806453.jpg)


