বগুড়ার শাজাহানপুরে হাইব্রিড মরিচের ফলনে রেকর্ড ভঙ্গ, আনন্দিত চাষি পরিবার
শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি: শাজাহানপুরে হাইব্রিড মরিচের বাম্পার ফলনে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। প্রত্যাশার চেয়েও বেশি ফলন পেয়ে মহা আনন্দিত মরিচ চাষি পরিবারগুলো। উচ্চ ফলনশীল, রোগ প্রতিরোধী ও বাজারে চাহিদা বেশি হওয়ায় কৃষকরা হাইব্রিড মরিচ চাষে ঝুঁকছেন।
উপজেলার খরনা ইউনিয়নের হরিণগাড়ি গ্রামের মৃত আকবর আলীর ছেলে মরিচ চাষি শাহিনুর রহমান। তিনি ৮-৯ বছর যাবত বিভিন্ন জাতের হাইব্রিড মরিচের আবাদ করে আসছেন। এ বছর ২৪ শতক জমিতে হাইব্রিড মরিচের চাষ করে বিগত সব বছরের চেয়ে সর্বোচ্চ ফলন পেয়েছেন। বাজারে চাহিদা থাকায় দামও পেয়েছেন বেশি।
২৪ শতক জমিতে চারা ক্রয়, রোপন, সার, সেচ ও শ্রমিক খরচসহ মোট ব্যয় হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। অপরদিকে মাত্র আড়াই মাসেই তিনি আড়াই লাখ টাকার মরিচ বিক্রি করেছেন। আগামী ৩ মাসে আরও আড়াই লাখ টাকার মরিচ উঠবে বলে তার প্রত্যাশা। একই রকম সফলতার মুখ দেখেছেন উপজেলা গোহাইল ইউনিয়নের কাছাহার গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে বুলবুল আহমেদ।
তিনিও ধান, আলু, সরিষার পাশাপাশি হাইব্রিড মরিচের চাষ করছেন। এবছর ১২ শতক জমিতে হাইব্রিড মরিচ চাষ করে ব্যাপক ফলন পেয়েছেন। তিনি জানান, এ বছর ১২ শতক জমি থেকে ৪ দফায় ৯০ হাজার টাকার মরিচ বিক্রি করেছেন।
আরও পড়ুনআরও ৪ মাসে প্রায় ৬০ হাজার টাকার মরিচ বিক্রি হবে। ফলে ১২ শতক জমি থেকেই তার দেড় লাখ টাকা আসবে। অপরদিকে খরচ হয়েছে মাত্র ২৫ হাজার টাকা। তাই হাইব্রিড মরিচ চাষে তিনি আর্থিক ভাবে ব্যাপক লাভবান হয়েছেন।
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার শাহনগর সবজি নার্সারি মালিক সমিতির সভাপতি আমজাদ হোসেন জানান, দেশে মরিচের চাহিদা মেটাতে এবং কৃষকদের আর্থিকভাবে লাভবান করতে হাইব্রিড মরিচ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
তাই মরিচ চাষের ক্ষেত্রে ভালো জাতের চারা, উপযুক্ত পরিচর্যা, পরিমিত সার, কীটনাশক প্রয়োগে কৃষকদের মাঝে আধুনিক কলাকৌশল ছড়িয়ে দিতে হবে। উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে শাজাহানপুর উপজেলায় সাড়ে ৩শ’ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড মরিচের চাষ হয়েছে। ভালো ফলন এবং বাজার মূল্য পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত কৃষক পরিবারগুলো।
মন্তব্য করুন







