ভিডিও শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

প্রকাশ : ২২ নভেম্বর, ২০২৫, ০৬:০৪ বিকাল

হারিয়ে যেতে বসেছে বনফুল কাঞ্চন

হারিয়ে যেতে বসেছে বনফুল কাঞ্চন। ছবি : দৈনিক করতোয়া

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি: ও তুমি কৃষ্ণচূড়া/আর আমি কাঞ্চন/তাহলে আর কেন বিভাজন/আমরা দু’জনে বনফুল/এসো করি মনোরঞ্জন। রোদঝলমলে দিনে মৃদুমন্দ সমীরণে পথতরু নজর কাড়ে। চোখে পড়ে অনেকদিনের না দেখা ফুল ফুটে আছে। এমনই এক বনফুল ‘কাঞ্চন’। এপ্রিলে ফোটা কৃষ্ণচূড়ার ভাই। গাছের নামেই কাঞ্চনের পরিচিতি। বৃক্ষের নামে পরিচিতি পাওয়া আরও ফুল ফোটে নিদারুণ গ্রীষ্মে, যেমন- সোনালু, জারুল ইত্যাদি।

কনকচূড়া ফুলটিও বৃক্ষের নামে। কৃষ্ণচূড়ার সাথে প্রতিযোগিতায় পাল্লা দিয়ে ফুলটিও কনকচূড়া হয়েছে। কাঞ্চনের আরেক বনভাই। এ ক্ষেত্রে মাঝারি আকৃতির কাঞ্চন গাছ তার শাখার ডগায় লম্বা মঞ্জুরিতে কুঞ্চিত পাপড়ি মেলে ধরে কাঞ্চন ফুল নামেই পরিচিতি লাভ করেছে।

একটা সময় নদী তীরে, ঝাউবনে গ্রামের পথে-প্রান্তরে, গৃহস্থের বাড়ির হালটে, পুকুরপাড়ে কাঞ্চন ফুল ফুটে সৌরভ না ছড়ালেও দৃষ্টিকে প্রশান্ত করতো। সকলের অগোচরে ঝাউবনে বীজ পড়ে জন্ম নেয় কাঞ্চন। অযত্নে-অনাদরে বেড়ে উঠেই মোহনীয় করে প্রকৃতিকে। তবে দিন বদলের সাথে সাথে হারিয়ে যেতে বসেছে এই ফুলগাছ। বনফুল রক্ষার উদ্যোগ না থাকায় এমন নানা প্রজাতির বনফুল এখন বিলুপ্ত প্রায়।

পাবনার নূরপুরস্থ বিভাগীয় সামাজিক বন কর্মকর্তা(ডিএসএফও) জানালেন, কাঞ্চন ফুলটি দেশীয়। বৃক্ষের তিনটি গোত্র-হার্ব(মাটির ওপর মিশে থাকে গুল্ম), সার্ব (মাঝারি উচ্চতা) ও ট্রি(উচ্চ গাছ)। পাবনার রমানন্দপুরস্থ বিএডিসি’র এগ্রো সার্ভিস সেন্টারে আছে একটি দেবকাঞ্চন গাছ। কাঞ্চন ফুলের গাছটি সার্ব ক্যাটাগরির, এর উড(কাঠ) ভ্যালু আছে। ফুলটি গাছের নামে পরিচিত। শ্বেতকাঞ্চন, রক্তকাঞ্চন ও দেবকাঞ্চন তিন ধরনের গাছ রয়েছে। ফাল্গুন মাসে ফোটা শুরু হয়ে  থাকে গ্রীষ্মকাল পর্যন্ত।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ক্ষমতায় গেলে পিআর বাস্তবায়ন করবো : জামায়াত আমির

হারিয়ে যেতে বসেছে বনফুল কাঞ্চন

বিএনপিতে হোন্ডা-গুন্ডার রাজনীতি থাকবে না : এ্যানি

উচ্চশিক্ষার ভাষা হিসেবে বাংলাকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই : প্রাথমিক উপদেষ্টা

স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ ও ইন্টারনেট সংযোগে ভুটানের সঙ্গে দুই সমঝোতা

কুমিল্লায় অভিযান চলাকালে পুলিশের ওপর হামলা