ভিডিও বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫

চলতি বছর ডেঙ্গুতে ২২০ জনের মৃত্যু

চলতি বছর ডেঙ্গুতে ২২০ জনের মৃত্যু, ছবি: সংগৃহীত।

চলতি বছর ডেঙ্গুতে ২২০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ টি এম সাইফুল ইসলাম।আজ বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৫’ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। তবে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা গত বছরের চেয়ে বেশি হলেও মৃত্যুহার কম বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর।

এ টি এম সাইফুল ইসলাম বলেন, ২০২৩ ক্যালেন্ডার বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিল তিন লাখের বেশি এবং মৃত্যুবরণ করেছিল এক হাজার ৭৫০ জনের মতো। ২০২৪ ক্যালেন্ডার বছরে আক্রান্ত হয়েছিল এক লাখ ৫ হাজারের মতো, মৃত্যু হয় ৫২০ জনের। তিনি বলেন, এবার আমরা ক্যালেন্ডার বছরের শেষপর্যায়ে পৌঁছেছি। গতকাল পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা গেছে ২২০ জন। ক্রমান্বয়ে ডেঙ্গু যে প্রতিরোধের বিষয়টা, সেটি আমরা নির্মূল করতে পারিনি, কিন্তু সরকারের প্রচেষ্টায় আমরা সফলতার দিকে এগোচ্ছি। সামনে একজনও মৃত্যুবরণ করবে না, আমরা সেদিকে এগোচ্ছি। তারপরও যতটা প্রতিরোধ করা সম্ভব আমরা চেষ্টা করছি।

এসময় ডেঙ্গু সংক্রমণের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর বলেন, এবার গতবারের চেয়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। আক্রান্তের তুলনায় মৃত্যুহার কম হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা যে বিষয়টাকে গুরুত্ব দিচ্ছি এবং পরিসংখ্যান এবং হাসপাতাল থেকে যে মৃত্যুর যে তথ্য পাচ্ছি, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রথমদিনই বেশিরভাগ রোগী ৫০ শতাংশের বেশি মারা যাচ্ছে। তার মানে রোগের যে আক্রমণ হয়েছে, এটা অনেক আগে। রোগীরা হাসপাতালে পরে এসেছে। আমরা হাসপাতলে যথেষ্ট পরিমাণ ব্যবস্থাপনার চেষ্টা করছি।

আরও পড়ুন

তিনি আরও বলেন, এখন যেটা সবচেয়ে বড় বিষয়, সেটা হলো জনগণের সচেতনতা। যেহেতু মশা উৎপন্ন হওয়ার বিষয় আছে, সেজন্য মশা ধ্বংসেরও বিষয় আছে। তাদের লার্ভা ধ্বংস করার বিষয় আছে। লোকজন যেন প্রোটেকটেড থাকে সেজন্য মশারি টাঙানো। এগুলো খুবই জরুরি। এগুলো হচ্ছে মূলত ব্যক্তিগত পর্যায়ের বিষয়। এগুলো যদি আমরা অবজ্ঞা করি তবে ডেঙ্গু থেকে মুক্তি পাওয়া মুশকিল। আবু জাফর বলেন, ডেঙ্গু হলেও আমরা প্রথম পর্যায়ে যদি শনাক্ত করতে পারি ডেঙ্গুর চিকিৎসা বাসায় বসেই হয়। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী। সিভিআর পর্যায়ে না গেলে হাসপাতালে যাওয়া জরুরি নয়। এর সম্পর্কে সম্যক ধারণা এবং সচেতনতার অভাব ও অবহেলার কারণে আমাদের মূলত ডেঙ্গুতে মৃত্যুহার বেড়ে যাচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী) অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিখোঁজের দুইদিন পর পানিতে ভেসে উঠলো শিশুর মরদেহ

প্রাইভেট পড়তে গিয়ে অপহৃত শিশু রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে উদ্ধার

ভূমি অফিসকে মানুষের আস্থার প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে: সিনিয়র সচিব

যশোরে যুবককে কুপিয়ে হত্যা, আহত ৬

২৭তম বিসিএসের স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ

ক্যাম্পে ঘুমন্ত অবস্থায় র‍্যাব সদস্যের মৃত্যু