সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে যমুনার জেগে ওঠা চরে বিনাচাষে কালিবোরো ধান রোপণ
কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে যমুনার পানি কমে যাওয়ায় জেগে উঠেছে অনেক চর ডুবোচর। এসব চরে বিনা চাষে পলিসমৃদ্ধ কাদায় কৃষকেরা কালিবোরো ধান রোপন ব্যস্ত সময় পার করছেন।
উপজেলার চরাঞ্চলে অবস্থিত নাটুয়ারপাড়া. মনসুর নগর, খাসরাজবাড়ী. চরগিরিশ, তেকানি ও নিশ্চিন্তপুর ইউনিয়নসহ বিড়া অঞ্চলের মাইজবাড়ি, কাজিপুর সদর ও শুভগাছা ইউনিয়নের যমুনার চরাঞ্চলের কয়েক হাজার কৃষক এই ধান রোপন করছেন। এই ধান রোপনের সময় সাধারণত অগ্রহায়ণ মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে পৌষ মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত।
সরেজমিন গতকাল রোববার চরাঞ্চলে গিয়ে দেখা গেছে, পলিসমৃদ্ধ যমুনার চরের পানির কিনারা ঘেঁষা স্থানগুলোতে ও অল্প পরিমাণ পানিযুক্ত ডুবোচরে, নদীর খাড়িতে ও জলাভূমিতে কোন প্রকার চাষ ও সার প্রয়োগ ছাড়াই এই ধান রোপণ করছেন কৃষকগণ।
কাজিপুর উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে ২৩ হেক্টর জমিতে কালিবোরো ধানের বীজতলা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৬০ হেক্টর। এ ধানের চাষাবাদ সম্পূর্ণভাবে প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল হওয়ায় আবাদের পরিমাণ একেক বছর একেক রকম হয়ে থাকে।
আরও পড়ুনস্থানীয়ভাবে কালিবোরো বলা হলেও এই ধান সাদা এবং কালো দুই জাতেরই হয়ে থাকে। আর কৃষি অফিস এটিকে স্থানীয় জাতের বোরোধান বলে। নাটুয়ারপাড়া চরের চাষী টুকু মন্ডল বলেন, “পুরুষাণুক্রমে আমরা এই ধানের চাষ করে আসছি। সামান্য ইউরিয়া ছিটানো লাগে। কোন প্রকার কীটনাশকের ব্যবহার না থাকায় স্থানীয় বাজারে কালিবোরো ধানের চাহিদা খুব বেশি। খেতেও বেশ সুস্বাদু। এ কারণে দামও ভালো পাওয়া যায়।”
কাজিপুর উপজেলা কৃষি অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, “স্থানীয় জাতের এই ধানকে কৃষকেরা কালিবোরো ধান বলছেন। এই ধান লাগাতে জমি প্রস্তুত খরচ ও সার কীটনাশকের ব্যবহার না করায় কৃষকের উৎপাদন খরচ বেশ সাশ্রয় হয়।” এই ধানের ফলন বিষয়ে তিনি বলেন, “সাধারণত বিঘা প্রতি ১২ থেকে ১৪ মণ ধান হয়ে থাকে।
মন্তব্য করুন







