পাবনার চাটমোহরে কুমড়ো বড়িতে স্বাবলম্বী নারীরা
চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি: ডাল ভিজিয়ে পাটায় মিহি করে বেটে বেসন বানান। রাত ভোর হয়ে যায় তার এটা করতে। রাত পোহালে কুমড়োবড়ি বানিয়ে কড়া রোদে শুকোতে দেন শান্তি রানী দাস (৪২)। তারপর বড়ি শুকালে শান্তির স্বামী শম্ভুুনাথ দাস (৫৫) বাজারে নিয়ে বিক্রি করেন। প্রতিদিন ১০/১৫ কেজি বড়ি বিক্রি হয়। কঠোর শ্রমের এই কুমড়োবড়ি বেচে তারা এখন স্বাবলম্বী।
সংসারে অভাব নেই। এটা করেই তার ছেলেমেয়েকে লেখাপড়া শিখিয়েছেন। ছেলে একটা কোম্পানিতে চাকরি করেন। মেয়ে এখন স্ন্নাতক পাস করেছে। আগে সরকারি খাসজমিতে বাড়ি করে বসবাস ছিল। এখন নিজের কেনা জমিতে দু’টি টিনের ঘর তুলে বাড়ি করেছেন শম্ভুনাথ। পাবনার চাটমোহরের কুমড়োবড়ি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে চলে যায় ঢাকাসহ উত্তরের জেলাগুলোতে।
পাবনার চাটমোহর পৌরসভার দোলং মহল্লার আধারপাড়া বহুদিন থেকেই এলাকবাসীর কাছে কুমড়োবড়ির গ্রাম হিসেবে পরিচিত। এ গ্রামেই শান্তি রাণীর বসবাস। তার মতোই এ গ্রামের ৫০টি পরিবার কুমড়োবড়ির ব্যবসা করে সংসারে স্বচ্ছলতা এনেছেন। প্রতিটি পরিবারের ছেলেমেয়ে স্কুল-কলেজে পড়ছে। এক সময়ে ভূমিহীন অনেক পরিবার জমি কিনে নতুন টিনের ঘর তুলে বাড়ি করেছে। নাম আধারপাড়া হলেও, মানুষগুলো স্বচ্ছলতার আলো এনেছে পরিবারে। বিদ্যুতের আলোও পৌঁছে গেছে গ্রামটিতে।
আরও পড়ুনবৃদ্ধা মনোরমা পাল বলেন, আমার মাকে বড়ি বানিয়ে বেচতে দেখেছি আমি। তখন চার আনা সের খেশারি ডাল ছিল। বড়ি বিক্রি হতো বার আনা সের। তিনি বলেন, এই বড়ি বেচে আমি ৩ ছেলে ২ মেয়েকে মানুষ করেছি। ২ মেয়েকে আইএ পাস করিয়ে বিয়ে দিয়েছি। ৩ ছেলে এখন মিষ্টির ব্যবসা করে।
আদরী রাণী ভৌমিক (৩০) বলেন, বড় মেয়েকে আইএ পাস করিয়ে বিয়ে দিয়ে দিয়েছি। এই বড়ির ব্যবসা করেই জমি কিনে সেখানে আধাপাকা দু’টি ঘর করেছি। বাবার বাড়িতেও জমি কিনেছি।
মন্তব্য করুন


_medium_1764934907.jpg)


_medium_1764929067.jpg)

