5G ও Wi-Fi 5: কী পার্থক্য, কোন প্রযুক্তি কোথায় উপযোগী
ডিজিটাল যুগে দ্রুত ও নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগের চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে 5G ও Wi-Fi 5—এই দুটি বেতার প্রযুক্তি নিয়ে আগ্রহও বাড়ছে। যদিও উভয়ই তারবিহীন ইন্টারনেট সুবিধা দেয়, প্রযুক্তিগত কাঠামো, ব্যবহারক্ষেত্র ও সক্ষমতার দিক থেকে এদের মধ্যে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য।
5G হলো মোবাইল নেটওয়ার্কের পঞ্চম প্রজন্ম। এটি সেলুলার টাওয়ারের মাধ্যমে স্মার্টফোন, ট্যাবলেটসহ বিভিন্ন ডিভাইসকে সংযুক্ত করে। 5G নেটওয়ার্কে সাধারণত ৫০ এমবিপিএস থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ প্রায় ৩ জিবিপিএস পর্যন্ত গতি পাওয়া সম্ভব। এনক্রিপ্টেড সংযোগ ব্যবহারের কারণে নিরাপত্তাও তুলনামূলকভাবে উন্নত।
5G প্রযুক্তি আগের প্রজন্মের 4G-এর তুলনায় দ্রুততর ও কম ল্যাটেন্সি প্রদান করে। মিলিমিটার ওয়েভ (mmWave) স্পেকট্রাম ব্যবহারের ফলে উচ্চগতির ডেটা ট্রান্সমিশন সম্ভব হলেও দেয়াল বা অন্যান্য বাধার কারণে সিগন্যাল দুর্বল হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এ ছাড়া কিছু অপারেটর 5G হোম ইন্টারনেট সেবা চালু করেছে, যা ফাইবার সংযোগের বিকল্প হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
Wi-Fi 5-এর সুবিধা
Wi-Fi 5 দুইটি ব্যান্ড—২.৪ গিগাহার্টজ ও ৫ গিগাহার্টজ—সমর্থন করে, ফলে কম হস্তক্ষেপে স্থিতিশীল সংযোগ পাওয়া যায়। MU-MIMO প্রযুক্তির কারণে একই সময়ে একাধিক ডিভাইস কার্যকরভাবে সংযুক্ত রাখা সম্ভব, যা ঘরোয়া ও অফিস ব্যবহারে সুবিধা দেয়।
আরও পড়ুন5G হোম ইন্টারনেট বনাম Wi-Fi 5
5G রাউটার সরাসরি সেলুলার টাওয়ার থেকে সিগন্যাল গ্রহণ করে, আর Wi-Fi 5 রাউটার সাধারণত ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারীর তারযুক্ত সংযোগের ওপর নির্ভরশীল। প্রযুক্তি দুটি একে অপরের সরাসরি বিকল্প নয়; বরং ব্যবহারক্ষেত্র ভিন্ন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, উচ্চ গতির মোবাইল সংযোগ ও চলমান ব্যবহারের জন্য 5G উপযোগী, আর নির্দিষ্ট স্থানে স্থিতিশীল ও সাশ্রয়ী ইন্টারনেটের জন্য Wi-Fi 5 কার্যকর। প্রয়োজন ও ব্যবহারের ধরন অনুযায়ী সঠিক প্রযুক্তি নির্বাচন করাই সবচেয়ে যুক্তিযুক্ত।
মন্তব্য করুন

আইটি ডেস্ক








