শান্তিরক্ষা মিশন থেকে নিথর দেহে ফিরছেন নাটোরের লালপুরে কর্পোরাল মাসুদ রানা
লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি : শান্তি মিশনে এক মাস আট দিনের মাথায় সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ গেল শান্তিরক্ষী মাসুদ রানার। তার এমন মৃত্যুর খবরে নাটোরের লালপুর উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের বাড়িতে এখন শোকের ছায়া।সুদানের আবেই-তে জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬ শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে মাসুদ রানা নামে একজনের বাড়ি লালপুর উপজেলার আড়বাব ইউনিয়নের বোয়ালিয়াপাড়া গ্রামে।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ত্রাসীরা ইউএন ঘাঁটি আক্রমণ করলে তারা নিহত হন। এছাড়া আরও ৮ জন আহত হয়েছেন এবং যুদ্ধ চলমান বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
জানা গেছে, বোয়ালিয়া পাড়া গ্রামের মৃত সাহার মালিথার ছেলে মাসুদ রানা। তিনি গত একমাস আট দিন আগে শান্তিরক্ষা মিশনে গিয়েছিলেন। ফেসবুকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড পেজের একটি পোস্টে বলা হয়েছে, সুদানের আবেই এলাকায় অবস্থিত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের অতর্কিত আক্রমণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মোট ১৪ জন শান্তিরক্ষী হতাহত হয়েছেন। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এর মধ্যে ছয়জন শান্তিরক্ষী নিহত এবং আটজন শান্তিরক্ষী আহত হয়েছেন বলেও এতে জানানো হয়েছে।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ওই এলাকায় পরিস্থিতি এখনো অস্থিতিশীল রয়েছে এবং সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলমান রয়েছে। আহত শান্তিরক্ষীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও উদ্ধার কার্যক্রম গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। পরবর্তী পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রাপ্তি সাপেক্ষে যথাসময়ে জানানো হবে বলেও ওই পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
বোয়ালিয়া পাড়া গ্রামের সাহার মালিথার তিন ছেলেই সেনাবাহিনীতে কর্মরত। এর মধ্যে বড় ছেলে কর্পোরাল মাসুদ রানা। শোকেস্তব্ধ তার বাবা-মা, স্ত্রী আঁখি, আট বছরের মেয়ে আসনুভা। অপেক্ষায় আছেন তাদের প্রিয়জনের মরদেহের পৌঁছানোর।
মন্তব্য করুন







