ভিডিও বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

প্রকাশ : ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১২:১৩ দুপুর

খালেদা জিয়া ধৈর্য ও প্রতিরোধের সবচেয়ে বড় প্রতীক: তারেক রহমান

খালেদা জিয়া ধৈর্য ও প্রতিরোধের সবচেয়ে বড় প্রতীক: তারেক রহমান, ছবি: সংগৃহীত।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ১৬ বছর বাংলাদেশ একটি ‘কালো মেঘের’ নিচে চাপা ছিল। কারও ক্ষেত্রে এই অন্ধকার ছিল তীব্র; কেউ আবার নীরবে সইতে বাধ্য হয়েছে। তিনি বলেন, কোনো বাংলাদেশিকেই রাষ্ট্রের ভয়ে বাঁচতে হবে না—সে সরকারের সমর্থক হোক বা বিরোধী। মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে বুধবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এসব কথা বলেন তারেক রহমান।ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, গত ১৬ বছর ধরে বাংলাদেশ একটি ‘কালো মেঘের’ নিচে চাপা ছিল। কারও ক্ষেত্রে এই অন্ধকার ছিল তীব্র; কেউ আবার নীরবে সইতে বাধ্য হয়েছে। তবে যারা তৎকালীন ‘পতিত সরকারের’ বিপরীতে অবস্থান নিয়েছিল, তাদের জন্য ভয়, মিথ্যা মামলা, রাতের বেলা দরজায় কড়া নাড়া, গুম, নির্যাতন—এসব ছিল নিত্যদিনের বাস্তবতা। অসংখ্য পরিবার অপেক্ষা করেছে তাদের প্রিয়জনের জন্য, যারা আর কখনও ঘরে ফেরেনি।

তারেক রহমান বলেন, এই বোঝা বিএনপির চেয়ে বেশি আর কেউ বহন করেনি। বিচার বহির্ভূত হত্যা, গুম, হেফাজতে মৃত্যু, মিথ্যা মামলায় বিএনপির নেতাকর্মীরাই সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানেও সবচেয়ে বেশি রক্ত ঝরেছে বিএনপির ঘরেই। তবে অত্যাচারের শিকার কেবল বিএনপি নয়—ছাত্র, সাংবাদিক, লেখক, পথচারী, সাধারণ মানুষও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মতপ্রকাশের অধিকার, মর্যাদা, নিরাপত্তা—সব মৌলিক মানবাধিকারই ছিল হুমকির মুখে।তিনি জানান, ২০১৫ সাল থেকে তাকে কথা বলার মৌলিক অধিকার থেকেও বঞ্চিত করা হয়েছিল। পত্রিকা, টিভি কিংবা সামাজিক মাধ্যমে তার কোনো বক্তব্য প্রকাশ না করার নির্দেশনা ছিল। তবুও তিনি গণতন্ত্র, অধিকার ও ন্যায়ের পক্ষে লড়াই চালিয়ে গেছেন।

তারেক রহমান তার মা, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ‘ধৈর্য ও প্রতিরোধের সবচেয়ে বড় প্রতীক’ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, মিথ্যা মামলা, কারাবাস, রাজনৈতিকভাবে নিঃশেষ করার চেষ্টা—এসবই ছিল এক কর্তৃত্ববাদী শাসনের প্রতিফলন। তবু খালেদা জিয়া গণতান্ত্রিক আদর্শ থেকে সরে যাননি। তার একটাই বিশ্বাস, ‘অধিকার সবার, ভয় দেখিয়ে দেশকে এগোনো যায় না।’

তিনি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথাও তুলে ধরেন; জেল, নির্যাতন, আরেক ছেলেকে হারানো—এসব যন্ত্রণা খালেদা জিয়া ও তাদের পরিবারকে মোকাবিলা করতে হয়েছে। তবে তিনি বলেন, কষ্ট মানুষকে কখনো কখনো আরো মহান করে তোলে, এবং খালেদা জিয়া সে উদাহরণ।

আরও পড়ুন

তারেক রহমান বলেন, এখন বাংলাদেশের প্রয়োজন রাজনীতির চেয়েও বড় কিছু, একটি ঐক্যবদ্ধ দেশ। যেখানে ভিন্নমত গণতন্ত্রের অংশ হবে, নিপীড়নের কারণ হবে না। যেখানে কাউকে গুম বা নির্যাতনের শিকার হতে হবে না।তিনি আবরার ফাহাদ, মুশতাক আহমেদ, ইলিয়াস আলী, সাজেদুল ইসলাম সুমন, সাগর-রুনিসহ অসংখ্য নিপীড়নের শিকার মানুষের কথা স্মরণ করেন। বলেন, মানবাধিকার দিবসের বার্তা হলো, এমন নিষ্ঠুরতা আর দায়মুক্তির সংস্কৃতি ভবিষ্যতে যেন কখনও ফিরে না আসে।

তিনি আরো বলেন, বিএনপি মারাত্মক ক্ষতির মধ্যে দিয়ে গেছে, কিন্তু ভেঙে পড়েনি। বরং সত্য, ন্যায়, জবাবদিহি, পুনর্মিলন এবং আইনের শাসনে বিশ্বাস রেখে আরো দৃঢ় হয়েছে। বিএনপির লক্ষ্য, একটি বাংলাদেশ গড়া, যেখানে প্রতিটি মানুষের অধিকার, কণ্ঠ ও জীবন মূল্যবান; যেখানে মানবাধিকারই হবে ভবিষ্যতের ভিত্তি।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

খালেদা জিয়া ধৈর্য ও প্রতিরোধের সবচেয়ে বড় প্রতীক: তারেক রহমান

নাহিদ ঢাকা-১১ ও নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ঢাকা-১৮ তে এনসিপির প্রার্থী

জাপানের চারপাশের আকাশে চীন-রাশিয়ার বোমারু বিমানের টহল

মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টার বাণী

১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা 

উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ পদত্যাগ করছেন আজ