জয়পুরহাটে পানি জমে থাকা নিচু জমিতে বাড়ছে পানি ফলের চাষ
জয়পুরহাট প্রতিনিধি : জয়পুরহাটে বাণিজ্যিকভাবে পানিফল চাষ করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন কৃষকরা। খরচ কম আর লাভ বেশি হওয়ায় অনেক কৃষক এই চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। বিভিন্ন এলাকায় নিচু জমিতে সারাবছর পানি জমে থাকায় তেমন কোনো ফসলের চাষ না হওয়ায় এই সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন তারা। এতে ব্যাপক সফলতা পাচ্ছেন কৃষক, হচ্ছেন লাভবান। এ বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস জেলা কৃষি বিভাগের।
সরেজমিনে জানা গেছে, জয়পুরহাট সদর উপজেলার পুরানাপৈল ও গতনশহরসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়কের পাশে নিচু জমিতে সারাবছর পানি জমে থাকায় তেমন কোনো ফসলের চাষ হয় না। এই জমিগুলোই কাজে লাগিয়েছেন অর্ধশতাধিক কৃষক। শুধুমাত্র নিজ মেধা ও উদ্যোগে এসব জমিতে তারা বাণিজ্যিকভাবে চাষ করেছেন পুষ্টিগুণে ভরপুর পানিফল।
এ ফল চাষে খরচ একেবারে কম, তেমনি নেই রোগবালাই। প্রথমে অল্প কিছু জমিতে এর চাষ শুরু হলেও লাভ বেশি হওয়ায় এখন ছড়িয়ে পড়ছে এর চাষ। কৃষকরা জানায়, বিঘাপ্রতি জমিতে মাত্র ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা খরচ করে পানিফল বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত। খুচরা বাজারে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। বিঘাপ্রতি জমিতে ৪০ থেকে ৪০ মণ পর্যন্ত ফলন হয়। কৃষকরা পানিফল সংগ্রহ করে সড়কের পাশেই বিক্রি করছেন।
আরও পড়ুনসরকারিভাবে সহায়তা পেলে এ চাষ আরও বাড়বে বলে মনে করছেন চাষিরা। সদর উপজেলার গতনশহর এলাকার কৃষক ময়নুল ইসলাম বলেন, ‘পানিফল চাষে খরচ অনেক কম। এক বিঘায় শ্রমিক দিয়ে সব কাজ করালে সর্বোচ্চ ৭ হাজার টাকার মতো খরচ হয়। আর নিজে করলে ২/৩ হাজার টাকা আরও কম হয়। বর্তমান বাজারে পানিফল ১২০০ থেকে ১৬০০ টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে। ৪০ থেকে ৫০ মণ পর্যন্ত ফলন হয় বিঘাপ্রতি জমিতে। সব খরচ বাদ দিলেও ৪০ হাজার টাকার মতো লাভ থাকবে।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এ.কে.এম সাদিকুল ইসলাম বলেন, ‘পানিফল চাষে খরচ অনেক কম। বাজারে এর অনেক চাহিদা আছে। পুষ্টিগুনের দিক দিয়ে পানিফল অনেক ভাল একটি ফল। এর মধ্যে খনিজ পদার্থ আছে। যা আমাদের শরীর গঠনের জন্য উপকারী। এবার জেলায় প্রায় ২০ হেক্টর জমিতে পানিফলের চাষ হয়েছে। কৃষকরা যাতে আরও লাভজনক পর্যায়ে এটি চাষ করতে পারে এ বিষয়ে সহযোগিতা করা হবে।’
মন্তব্য করুন

নিউজ ডেস্ক






