ধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যা, প্রধান আসামিসহ গ্রেপ্তার ২
ঢাকার কেরানীগঞ্জে ধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ দুইজনকে সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন প্রধান আসামি রিয়াজ (২০) ও রিয়াজের বাবা ফরিদ।
ঘটনাটি গত ২৭ নভেম্বর কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন জিনজিরা ইউনিয়নের অমৃতপুর এলাকার জনৈক দোলন মিয়ার বাড়িতে ঘটে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মনা বাদী হয়ে ২ ডিসেম্বর কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. মিজানুর রহমান জানান, দুই বছর আগে নিহত সালমা ও তার বোন শামসুন্নাহার মিলে অমৃতপুর দোলন মিয়ার বাড়ির ২য় তলার একটি ফ্লাট ৪ লাখ টাকায় মর্গেজ নিয়ে বাস করে আসছেন। কিছুদিন আগে সালমা তাদের ফ্লাটের একটি রুম রিয়াজ ও তার বাবা ফরিদ মিয়াকে সাবলেট ভাড়া দেন। গত ২৫ নভেম্বর রিয়াজ সালমাকে একা পেয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ রুমের ভেতর লুকিয়ে রাখেন। ২৭ নভেম্বর রুম থেকে লাশের পঁচা গন্ধ বের হলে রিয়াজ লাশের গলায় ওড়না পেচিয়ে আগুন ধরিয়ে রুমের দরজা বাহির থেকে তালা দিয়ে বাবা ফরিদ মিয়াকে নিয়ে পালিয়ে যান। রুম থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তালা ভেঙে সালামকে পোড়া অবস্থায় দেখতে পায়। এ ঘটনায় মামলা হওয়ায় সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বমপুর, তাহেরপুর, জামালগঞ্জ ও ছাতক থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে তাদের কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় আনা হয়।
তিনি আরও জানান, ঘাতক রিয়াজ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেবেন বলে জানিয়েছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের সময় নিহত সালমার ঘাতক রিয়াজের কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন ও কিছু ইমিটিশনের গহনা উদ্ধার করা হয়েছে।
ঘাতক রিয়াজের বাবা ফরিদ মিয়াকে গ্রেপ্তারের ব্যাপারে তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন

নিউজ ডেস্ক



_medium_1765116229.jpg)



