সিরাজগঞ্জে জমে উঠেছে জলপাইয়ের হাট
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জে মৌসুম শুরুতেই জমে উঠেছে মৌসুমি ফল জলপাই বিক্রির হাট। এই টক ফলটি দিয়ে মুখরোচক আচার বানিয়ে সারা বছর খেতে পছন্দ করেন অনেকেই। প্রতিদিন সকালে অটোরিকশা, ভ্যান ও পিকআপসহ বিভিন্ন যানবাহনে নিয়ে আসছে বস্তাবোঝাই জলপাই। মাটিতে বিছানো পলিথিনে ঢেলে স্তুপ করেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দেখা যায়, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বাগবাটিহাটে। জমজমাট হাটে প্রতিদিন জলপাই বিক্রি করতে আসেন ব্যবসায়ীরা। প্রতি বছরের মতো এবারও জমে উঠেছে এই জলপাইয়ের হাট। এখানে দিনে অন্তত ৮ থেকে ১০ টন জলপাই বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে। যার মূল্য ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা। জলপাই গাছের তেমন পরিচর্যা করতে হয় না, দিতে হয় না কোনো প্রকার সার ও কীটনাশক। তাই জলপাই চাষিরা সহজেই লাভের মুখ দেখতে পান। সেজন্য বাড়ছে জলপাইয়ের চাষ।
এই জলপাইয়ের হাটে বাগবাটি ইউনিয়নের সুবর্ণগাতি, হরিনা বাগবাটি, ফুলকোচা, খাগা, ঘোড়াচড়া, কানগাতি গ্রাম থেকে জলপাই নিয়ে আসেন বিক্রেতারা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে বেচাকেনা। জেলার বিভিন্ন উপজেলার পাশাপাশি, পাবনা, নাটোর, টাঙ্গাইল, বগুড়া ও ঢাকার পাইকারসহ দূর-দূরান্ত থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা এখান থেকে জলপাই কিনে নিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন জেলায়।
আরও পড়ুনব্যবসায়ী হাফিজুল ইসলাম বলেন, জলপাই গাছে মুকুল আসার পরই মালিকদের নিকট থেকে আমরা গাছ ক্রয় করি। আকার ভেদে প্রতিটি গাছে ১০ থেকে ১৫ মণ পর্যন্ত জলপাই ধরে। পাইকারি দরে প্রতি মণ কেনা হয় ৭০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা। এই জলপাই বাজারে প্রতি মণ ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হয়। প্রতিদিন এই হাটে সাড়ে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকার জলপাই বেচাকেনা হয়।
সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এ.কে.এম মনজুরে মওলা জানান, সাধারণত ৩ মাস অর্থাৎ আশ্বিন, কার্তিক ও অগ্রহায়ণ জলপাইয়ের মৌসুম। জলপাই গাছের তেমন পরিচর্যা করতে হয়না। এই ফলটি কৃষকদের বাড়তি আয়ের উৎস। উৎপাদন বাড়াতে কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন









