সপ্তাহে যাচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টন
বগুড়ার কাঁচা মরিচ দেশের গন্ডি পেরিয়ে মালয়েশিয়ায়
স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ার মরিচের ঝালের কথা সবারই জানা। বগুড়ার কাঁচা মরিচ এবং শুকনো মরিচের ঝালের কদর এখন দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশেও পৌঁছেছে। কাঁচা মরিচ এখন প্যাকেটজাত হয়ে চলে যাচ্ছে মালয়েশিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশ গুলোতে।
বগুড়ার ঝাল মরিচ বিদেশ রপ্তানী হওয়ায় চাষীদের মুখে হাসি ফুটেছে। তারা ন্যায্য দাম পাচ্ছে। সেই সাথে বাড়ছে মরিচের আবাদ। বগুড়া থেকে কাঁচা মরিচ রপ্তানী শুরু হওয়ায় বেকারদের হাতে কাজও বেড়েছে। ভাগ্য খুলেছে মরিচ চাষীদের।
বগুড়া থেকে মরিচ রপ্তানী করছেন বেলাল ট্রেডিং নামের একটি প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত্বাধিকারী এম বেলাল হোসেন জানান, বগুড়ার গাবতলী, শাজাহানপুর, সারিয়াকান্দি, সোনাতলা, কাহালু ধুনট এলাকার ব্যাপক মরিচের চাষ হয়। এই সব অঞ্চলের কৃষকেরা বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর পরই পলিপড়া মাটিতে মরিচের চাষ করে । কৃষক সকালে উঠেই ছোটেন মরিচের ক্ষেতে। সকাল সকাল প্ইাকারেরা কৃষকের কাছ থেকে ন্যায্য মূল্যে মরিচ কিনছেন।
রপ্তানী শুরু হওয়ায় মরিচের দর পতন হচ্ছে না। তাই কৃষক লাভবান হচ্ছে। এম বেলাল হোসেন আরও জানান তার মাধ্যমে সপ্তাহে ২ থেকে তিন কন্টিনার যাচ্ছে। প্রতিকন্টিনারে ১০ থেকে ১১ টন মরিচ থাকে। সে অনুযায়ী সপ্তাহে ২০ থেকে ৩০ টন কাঁচা মরিচ মালয়েশিয়া রপ্তানী হচ্ছে। তিনি গত ২ ডিসেম্বর সাড়ে ১০ টন এবং গতকাল রোববার ১১ টন মরিচ রপ্তানীর জন্য পাঠিয়েছেন চট্রগ্রামে।
আরও পড়ুনতিনি আশা করছেন আগামীকাল বা পরশু আরও ১১ টন মরিচ তিনি পাঠাবেন। প্রতি কার্টনে ৭ কেজি করে মরিচ ভরে প্যাকেটজাত করে ট্রাকে তোলা হয়। রাত ১০ টায় ট্রাক ছাড়লে সকাল ৮ টার মধ্যে চট্রগ্রাম বন্দরে পৌছে। বিদেশীদের কাছে বগুড়ার মরিচের চাহিদা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে।
তিনি বলেন তার প্রতিষ্ঠান মহাস্থানে তিনি সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে মরিচ কিনে মহাস্থানে এন বাছাই করে তা কার্টনে প্যাকেট করে। মরিচ বাছাই পরিস্কার করা এবং প্যাকেট করতে প্রায় ১শ জন শ্রমিক রয়েছে তার।
এই ব্যাবসায়ী আরও জানান, বগুড়া থেকে মালয়েশিয়ার পৌছাতে ৭ থেকে ৮ দিন লাগছে। চট্রগ্রামে পৌছার পর ২৪ ঘন্টা কন্টিনারে ফ্রিজিং করা হয়। তারপর সিপমেন্ট করা হয়।
মন্তব্য করুন








