নিউজ ডেস্ক
প্রকাশ : ১৯ নভেম্বর, ২০২৫, ০৭:১৮ বিকাল
_medium_1763560389.jpg)
ব্যানার টাঙানোকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াতের সংঘর্ষ
ব্যানার টাঙানোকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াতের সংঘর্ষ
চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গার শ্যামপুরে বিএনপি নেতার বাড়ির পাশে জামায়াত নেতার ব্যানার টাঙানোকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে দুই দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ও রাতে স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীধের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
আহত বিএনপি নেতাকর্মীরা হলেন, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম কনক, সদস্য শাহজাহান, আলিম, কুমারী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক তাইজেল হোসেন, ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রোকসানা খাতুন ও তার স্বামী রাশিদুল ইসলাম।
আহত জামায়াত সমর্থকরা হলেন, ওই এলাকার হারুনের ছেলে মুরাদ আলী, মাহাতাবের ছেলে আরিফ, পলাশের ছেলে লাল্টু, সাদেক আলীর ছেলে ওল্টু এবং তার মেয়ে ফাতেমা খাতুন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিএনপি নেতা রাশিদুলের বাড়ির কাছে জামায়াত নেতা উল্টু দাঁড়িপাল্লার ব্যানার টাঙাতে যায়। এ সময় রাশিদুল ও তার মধ্যে তর্কবিতর্ক শুরু হয়। এই তর্কের জেরে প্রথম দফায় দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে রাশিদুল ও তার স্ত্রী আহত হয়ে হারদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন।
বিএনপি নেতারা রাশিদুলের খবর নিতে যান। পরে ভাংবাড়িয়ার একটি কর্মসূচি থেকে ফিরে শ্যামপুরে রাশিদুলের বাড়ির পথে দ্বিতীয় দফায় জামায়াতপন্থীদের হামলার শিকার হন বলে অভিযোগ ওঠে। এ সময় যুবদলের দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে।
স্থানীয় কিছু বাসিন্দা জানান, বিএনপি নেতা রাশিদুলের বাড়ির সামনে ব্যানার টাঙাতে চাইলে আপত্তি ওঠে। ওল্টুর দাবি, ব্যানারটি তার নিজের জমিতে টাঙানো হচ্ছিল। এ নিয়ে তর্ক থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
স্থানীয়রা আরও জানান, ওল্টু এলাকায় প্রভাবশালী ব্যক্তি এবং সম্প্রতি দলবদল করে জামায়াতের রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছেন।
আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রোকন দাবি করেন, বিএনপি নেতা রাশিদুলের বাড়ির সামনে জামায়াতের ব্যানার টাঙানোকে কেন্দ্র করে ‘আওয়ামী লীগে’র নেতা ওল্টু বাহিনী তাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেছে। এতে বিএনপির ছয়জন আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে, আলমডাঙ্গা উপজেলা জামায়াতের আমির শফিউল আলম বকুল বলেন, ব্যানার টাঙানোর সময় বিএনপির মহিলা ইউপি সদস্য ও তার স্বামী তাদের কর্মীদের বাধা দেন। পরে বিএনপির পক্ষ থেকে হামলা করা হলে দুপক্ষে সংঘর্ষ ঘটে।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় বর্তমানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।
মন্তব্য করুন
