বগুড়ার সোনাতলায় ৬ হাজার হেক্টর জমি অনাবাদি
সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার সোনাতলার প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমি পতিত অনাবাদি জমি পড়ে রয়েছে। ওই পরিমাণ জমিতে বছরের পর বছর কোন খাদ্য শস্য উৎপাদন হচ্ছে না। পতিত জমিগুলো শস্য উৎপাদনের উপযোগি করতে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে কৃষকরা দাবি তুলেছেন।
এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বগুড়ার সোনাতলায় ১২-১৩টি খাল বিল রয়েছে। মধুপুরের সাতবিলা, সোনাতলা সদরের গোবরচাঁপা, বালুয়া ইউনিয়নের হারিয়াকান্দি এলাকার রুহের বিল, বামুনিয়া, ধর্মকূল, লৌহজং, পুগুলিয়া, দিগদাইড়ের মহিচরণ, লোহাগাড়া, পাঠানপাড়া, পাড়াবাইশাসহ বিভিন্ন খাল-বিলের প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমি অনাবাদি পড়ে রয়েছে। বছরের বেশিরভাগ সময়ে ওই সকল খাল-বিলে পানি জমাট বেঁধে থাকে। ফলে ওই পরিমাণ জমিতে বছরের পর বছর কোন ফসল উৎপাদন হয় না।
অপরদিকে ফসলি জমিতে পুকুর খননের পাশাপাশি বসতবাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে। ফলে সংশ্লিষ্ট উপজেলায় আবাদি জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। এতে করে এক সময় ওই উপজেলায় খাদ্য ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এ বিষয়ে পাঠানপাড়া গ্রামের আমিরুল ইসলাম মাস্টার বলেন, বছরের পর বছর শত শত একর জমিতে পানি জমাট বেঁধে থাকে। ফলে বছর জুড়ে ওই সকল বিলে কৃষক কোন ফসল ফলাতে পারে না।
দিনের পর দিন সংশ্লিষ্ট উপজেলায় লোকসংখ্যা বাড়লেও ফসল উৎপাদনের জমি বাড়ানোর কোন উদ্যোগ নেই। এমনকি ওই সকল খাল-বিল থেকে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না নেওয়ায় এক সময় খাদ্য ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
আরও পড়ুনএ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সোহরাব হোসেন বলেন, বগুড়ার সোনাতলায় প্রায় ১২-১৩টি খাল-বিল রয়েছে। ওই বিলের মধ্যে প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমি অনাবাদি পড়ে রয়েছে। স্থানীয়রা ওই পরিমাণ পতিত জমি থেকে নিষ্কাশনের মাধ্যমে পানি সেচ দিয়ে ফসল উৎপাদনের দাবি তুলেছে।
ওই পরিমাণ জমি শস্য উৎপাদনের আওতায় আনা হলে খাদ্য উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে। অপরদিকে, ফসলি জমিতে ঘরবাড়ি নির্মাণ করায় আবাদি জমি কমে যাচ্ছে। এভাবে ফসলি জমিতে পুকুর ও ঘরবাড়ি নির্মাণ করা হলে সংশ্লিষ্ট উপজেলায় এক সময় খাদ্য ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
মন্তব্য করুন

নিউজ ডেস্ক
_medium_1762695035.jpg)



_medium_1762693442.jpg)


