বেদখল ও ধ্বংস হতে চলেছে দুপচাঁচিয়ার জমিদার বাড়ি
দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি: দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদরের চৌধুরী পাড়ার দর্শনীয় স্থাপনা চৌধুরী বাড়ি আজও কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। বেদখল আর যত্রতত্র বসত বাড়ি গড়ে উঠায় এই জমিদার বাড়ি এখন ধ্বংসের শেষ প্রান্তে রয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলা সদরের চৌধুরী পাড়ায় রাণী ভবানীর প্রায় এক একর ৪৫ শতক জমিতে জমিদার বাড়িটি স্থাপিত হয়। ভবনের মূল ফটকের ছাদে দুটি পরীর ভাস্কর্যসহ অনেক কারুকার্যময় পুরোনো স্থাপত্য শিল্পের নিদর্শন আজও কালের সাক্ষী হয়ে রয়েছে। বিখ্যাত এই বাড়ি রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারের অভাবে ক্রমাগত ক্ষয়ে যাচ্ছে।
জানা যায়, তৎকালীন রাণী ভবানীর বংশধরের সূত্র ধরে চন্দ্রনাথ চৌধুরী, গোবিন্দ্রনাথ চৌধুরী, প্রসেন্দ্রনাথ চৌধুরী, রগুনাথ চৌধুরী বিশাল জায়গা জুড়ে এই জমিদার বাড়িতে বসবাস শুরু করেন। জমিদারের এই বাড়ির ভেতরের সীমানা জুড়ে কারুকার্যময় দু’তলা বাড়িগুলো ধ্বংসাবশেষ অবস্থায় আজও জমিদারির সাক্ষী হয়ে রযেছে। বাড়ির প্রধান ফটকের পাশেই বৈঠকখানাসহ প্রবেশ মুখে মন্দির ছিল।
মন্দিরটিতে আজও সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পূজা অর্চনা নিয়মিত হয়ে আসছে। বাড়ির পিছনেই বিশাল পুকুর এখনও দৃশ্যমান। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর জমিদার বাড়ির অনেকেই প্রতিবেশি দেশ ভারতে চলে যায়। তৌয়নাথ চৌধুরী, ডাক্তার দীনেন্দ্রনাথ চৌধুরী, বিরেন্দ্রনাথ চৌধুরী, দ্যিগু চৌধুরী, রমেন চৌধুরী, সুখেন চন্দ্র চৌধুরী পৈত্রিক সূত্রে পেয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর জমিদার বাড়িতে বসবাস করেন।
আরও পড়ুনএদের মধ্যে দ্যিগু চৌধুরী ভারতে চলে যান। নিঃসন্তান সুখেন চন্দ্র চৌধুরী ও রমেন চৌধুরীর মৃত্যুর পর তার দুই ছেলে ভারতে চলে যায়। বর্তমানে এ জমিদার বাড়িতে পৈত্রিক সূত্র ধরে অধ্যাপক পিযুষ চৌধুরী, নিমাই সুন্দর চৌধুরী, বিপ্লব চৌধুরী ও সুজিত চৌধুরী বসবাস করছেন।
জমিদার এই বাড়ির অনেক জায়গাও আবার বেদখলও হয়ে গেছে। বহু বছরের স্মৃতি বিজরিত এ জমিদার বাড়ি যথাযথ সংরক্ষণের অভাবে আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। এলাকাবাসী জানান, এসব স্থাপত্য ইতিহাসের সাক্ষী ও ঐতিহ্য। এই ঐতিহাসিক নিদের্শনকে সংস্কার করে সংরক্ষণ করা প্রয়োজন।
মন্তব্য করুন

নিউজ ডেস্ক

_medium_1762607752.jpg)
_medium_1762606108.jpg)

_medium_1762604567.jpg)


