ফিরলেন আনিসা, যুক্তরাষ্ট্র সফরে গানই ছিলো তার সঙ্গী
_original_1761924894.jpg) 
			
				
অভি মঈনুদ্দীন ঃ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই প্রজন্মের শ্রোতাপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী প্রথমবার যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে গত ২৯ অক্টোবর রাতে দেশে ফিরেন। দেশে ফিরে কিছুটা বিশ্রাম নিয়ে এরইমধ্যে আবার তিনি কুমিল্লায় গ্রামের বাড়িতে চলে গেছেন। দেশে ফিরেই আতিয়া আনিসা এখন পরিবারকে একটু বেশি সময় দেয়ার চেষ্টা করছেন। কারণ পরিবার ছেড়ে দীর্ঘদিন ঘরের বাইরে কিংবা দেশের বাইরে তার কখনোই থাকা হয়ে উঠেনি।
আতিয়া আনিসা জানান যুক্তরাষ্ট্র সফরে তিনি সেখানকার বিভিন্ন স্টেট-এ একের পর এক শোতে সঙ্গীত পরিবেশন করেছেন। প্রতিটি শোতে তার সঙ্গে ছিলেন বাংলা গানের যুবরাজ আসিফ আকবর। আনিসার ভাষ্যমতো, আসিফ আকবর ছিলেন বলেই তিনি অনেক স্বাচ্ছন্দ্যে শোগুলোতে অংশ নিতে পেরেছেন এবং গানে গানে শ্রোতা দর্শককে মুগ্ধ করতে পেরেছেন।
এরইমধ্যে দেশে ফিরেই আনিসা আগামী ২২ নভেম্বর চট্টগ্রামে একটি শোতে গান গাইবার জন্য চুড়ান্ত হয়েছেন। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে আরো একটি শোতে গান গাইবার জন্য কথা বার্তা চলছে। পাশাপাশি বেশিকিছু আধুনক গান ও নাটকের গান গাওয়ার জন্যও প্রাথমিক কথাবার্তা হয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র সফরের যে মুগ্ধতা নিয়ে তিনি দেশে ফিরেছেন তারই রেশ যেন কাটেনি এখনো। সেখানকার এতো এতো মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে দেশে ফিরে এখনো যেন এক অন্যরকম উচ্ছ্বাসের মাঝে আছেন আতিয়া আনিসা।
আরও পড়ুনআনিসা বলেন,‘ জীবনে কখনো কোনোদিন এতোটা দিন দেশের বাইরে তাও আবার পরিবার ছেড়ে থাকা হয়নি আমার। তবে আমি বেশ উচ্ছ্বাস আর আনন্দের মাঝেই ছিলাম। কারণ সঙ্গী ছিলো আমার গান। গানকে জড়িয়েইতো আমার এতোদূর আসা। পরিবার সবসময় আমার পাশে থেকেছে আমাকে সাহস দিয়েছে। আর শ্রোতা দর্শকের ভালোবাসাতো ছিলোই। যুক্তরাষ্ট্রে যতোগুলো স্টেট-এ গান করেছি প্রতিটি শোতে সবার কাছ থেকে এতো এতো ভালোবাসা পেয়েছি যে আমি সত্যিই মুগ্ধ। নতুন হিসেবে তারা আমাকে যেভাবে প্রবল আগ্রহ নিয়ে আমাকে গ্রহন করেছেন তা ছিলো আমার জন্য অনেক সম্মানের। সঙ্গে আসিফ ভাই সবসময়ই ছিলেন। বাংলা গানের এই যুবরাজ এতো ডাউন টু আর্থ- যে তার ভালোবাসার কাছে আমি, আমরা ঋনী হয়ে যাই। সত্যি বলতে কী আসিফ ভাই এবং পুরো টিম আমাকে আগলে রেখেছে। বিশেষ ধন্যবাদ সাগর ভাইকে। সাগর ভাই পি-থ্রি ভিসা করিয়ে আমাকে যুক্তরাষ্ট্র নিয়ে গেছেন, যা শিল্পী হিসেবে আমার জন্য সম্মানের। যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম গানে গানে সফর আমার আজীবন মনে থাকবে।’
মন্তব্য করুন










 
    