ভিডিও বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫

বগুড়ার ধুনটে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলায় ওসিসহ দুইজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

বগুড়ার ধুনটে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলা ওসিসহ দুইজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার ধুনটে বহুল আলোচিত  স্কুলছাত্রী ধর্ষণ ও সেই দৃশ্য মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ মামলায় মুরাদুজ্জামান মুকুল এবং মামলার আলামত নষ্টের অভিযোগে সাবেক ওসি কৃপা সিন্ধু বালার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।

চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন-ধুনট উপজেলার শৈলমারি গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে এবং জালশুকা হাবিবর রহমান ডিগ্রি কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ের প্রভাষক মুরাদুজ্জামান ওরফে মুকুল (৪৮) এবং গাজিপুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ-২ এ কর্মরত ধুনট থানার সাবেক ওসি কৃপা সিন্ধু বালা (৫১)।

আজ বুধবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে বগুড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. জিয়া উদ্দিন মাহমুদ মামলার অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন। এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বগুড়া পিবিআই’র পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম আদালতে দেড় হাজার পাতার চার্জশিট দাখিল করেন। বগুড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর পিপি এড. মোজাম্মেল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ধুনট পৌর এলাকার অফিসার পাড়ার কলেজ শিক্ষক দম্পতির স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে ২০২২ সালের ১২ এপ্রিল ধর্ষণ ও সেই দৃশ্য নিজের মুঠোফেনে ভিডিও ধারণ করে মুরাদুজ্জামান। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর মা বাদি হয়ে ২০২২ সালের ১২ মে ধুনট থানায় মুরাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব নেন ধুনট থানার তৎকালীন ওসি কৃপা সিন্ধু বালা। ওই মামলায় মুরাদুজ্জামানকে গ্রেফতারকালে জব্দকৃত মুঠোফোনে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ভিডিও ধারণের প্রমাণ পায় পুলিশ। কিন্তু মামলা তদন্তকালে ওসি কৃপা সিন্ধু বালা আসামির কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে জব্দকৃত মুঠোফোন থেকে ধর্ষণের ভিডিওসহ বেশকিছু আলামত নষ্ট করে।

আরও পড়ুন

বিষয়টি বুঝেতে পেরে পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন দপ্তরে ওসি কৃপা সিন্ধু বালার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন মামলার বাদি। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওসি কৃপা সিন্ধু বালাকে ধুনট থানা থেকে প্রত্যাহার করে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখায়।

এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন হয়ে বগুড়া পিবিআই’র এসআই সবুজ আলীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে ওসি কৃপা সিন্ধু বালার বিরুদ্ধে মামলার আলামত নষ্টের অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে মামলার সাক্ষীরা মৌখিক ও লিখিত সাক্ষ্য দেন।

কিন্তু সাক্ষীদের দেওয়া প্রকৃত সাক্ষ্য গোপন করে এসআই সবুজ আলী মনগড়াভাবে ওসি কৃপা সিন্ধু বালাকে মামলায় অর্ন্তভুক্ত না করে ২০২৪ সালের ২৪ মার্চ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এ অবস্থায় মামলার বাদির নারাজির আবেদন ২০২৪ সালের ১৫ আগস্ট মঞ্জুর করে সম্পূরক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বগুড়া পিবিআই-কে নির্দেশ দেন আদালত। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছয়বার পরিবর্তনের পর অবশেষে বগুড়া পিবিআই’র পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সাক্ষ্য প্রমাণে প্রাথমিকভাবে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় আসামি মুরাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে চার্জশিট এবং মামলার আলামত নষ্ট করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কৃপা সিন্ধু বালার বিরুদ্ধে আদালতে সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাজশাহীর বাঘা সীমান্তে মূর্তি উদ্ধার

পাবনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র হত্যা মামলায় ১৩৬ জনের নামে চার্জশিট

বগুড়ার ধুনটে স্বামী মোবাইল ফোন কিনে না দেওয়ায় স্ত্রীর আত্মহত্যা

বগুড়ায় প্রায় সাড়ে ৯ লাখ শিশু টাইফয়েডের টিকা পাবে

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২২১ রানে অলআউট বাংলাদেশ

ফতুল্লায় লাশ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার ৭