ভিডিও শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫

রমজানে ঐতিহ্যবাহী ফিলিস্তিনি খাবার মুসাখখান

সংগৃহিত,রমজানে ঐতিহ্যবাহী ফিলিস্তিনি খাবার মুসাখখান

লাইফস্টাইল ডেস্ক : মুসাখখানের প্রচলন ঘটেছিল ফিলিস্তিনের উত্তরাঞ্চলীয় শহর তুলকার্ম ও জেনিন অঞ্চলে। তবে এখন এই জনপ্রিয় খাবারকে ফিলিস্তিনের জাতীয় খাবার মনে করা হয়। ফিলিস্তিনের পাশাপাশি ইসরায়েলের আরব জনগোষ্ঠী ও জর্দানের মুসলিমদের মধ্যেও তা সমান জনপ্রিয়। সিরিয়া ও লেবাননের মানুষও এই খাবারের সঙ্গে পরিচিত।


আরবি মুসাখখানের অর্থ গরম। এর প্রতিশব্দ মুহাম্মার। মুসাখখান মূলত মুরগির মাংস দিয়ে তৈরি বিশেষ খাবার, যা ভাজা মুরগির সঙ্গে পেঁয়াজ, সুমাক, জাফরান, ভাজা পাইন বাদমসহ অন্যান্য মসলার যোগে তৈরি হয়। এটি তন্দুরি রুটির সঙ্গে পেশ করা হয়।

মুসাখখানের নামকরণ হয়েছে ফিলিস্তিন অঞ্চলের প্রাচীন একটি ঐতিহ্য অনুসারে। তাহলো এই অঞ্চলের কৃষকরা তাবুন (তন্দুরি) রুটি ঠাণ্ডা হলে গেলে তা আবার গরম করে খেত এবং রুটির স্বাদ বৃদ্ধির জন্য সঙ্গে মাংস যোগ করত।

ফিলিস্তিনে মুসাখখান জনপ্রিয় হওয়ার কারণ হলো এর উপাদানগুলো সহজলভ্য হওয়া। মুসাখখানে ব্যবহৃত মুরগি, অলিভ অয়েল, সুমাক ও পাইন বাদাম ফিলিস্তিনিদের প্রতিদিনের খাবার তালিকার অংশ। মুসাখখান পুরোপুরি হাতে প্রস্তুত করা হয় এবং তা সাধারণত তন্দুরি রুটি ও স্যুপের সঙ্গে পরিবেশন করা হয়।

আরও পড়ুন

২০ এপ্রিল ২০১০ রামাল্লায় মুসাখখান তৈরির একটি বৃহৎ আয়োজন করা হয়, যা গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান পেয়েছে।

এই আয়োজনে প্রস্তুত মুসাখখান রুটির ব্যাস ছিল চার মিটার এবং ওজন ছিল এক হাজার ৩৫০ কেজি। এতে ৪০ জন ফিলিস্তিনি রাধুনি অংশগ্রহণ করেছিল। বৃহৎ এই মুসাখখান তৈরিতে ১৭০ কেজি জলপাই তেল, ২৫০ কেজি ময়দা, ৫০০ কেজি পেঁয়াজ এবং ৭০ কেজি বাদাম ব্যবহার করা হয়েছিল।

সূত্র : প্যালেস্টাইনিয়ান ডিস ডটকম, হ্যান্ডমেইড প্যালেস্টাইন ডটকম।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জবিতে হোলি উৎসব উদযাপন

জবিতে লক্ষ্মীপুর স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের ইফতার মাহফিল

বৃহত্তর বগুড়া সমিতি ঢাকা ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

রোজাদার পথিকদের মাঝে ইফতার বিতরণ করে নেত্রকোণা জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদ

বগুড়ায় সক্রিয় জাল টাকার কারবারি চক্র, ধরা পড়ছে শুধু বাহক

দেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিএনপি সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে- ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন