দেশে মাইক্রোবায়োলজিস্টদের চাহিদা মেটাতে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ ভূমিকা রাখছে

‘মাইক্রোবায়োলজি মানবজাতির জন্য একটি আর্শীবাদ। কেন না, একটি ক্ষুদ্র অনুজীব কতটুকু শক্তি রাখে, তাসাধারণ ভাবে অনুমান করা সম্ভব নয়। তা নির্ণয় করা সম্ভব মাইক্রোবায়োলজি মাধ্যমে। যেমন, কোভিড-১৯ মানবজাতিকে মহাবিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিয়েছিল। আশংকা করা হয়েছিল মানবজাতি বুঝি আর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না। সেই মহাসংকট থেকে উত্তরণ করা সম্ভব হয়েছে মাইক্রোবায়োলজির গবেষণার মাধ্যমে। তাই মাইক্রোবায়ালজি মানবজাতির জন্য অপরিহার্য এবং সার াবিশ্বে পাঠ্যক্রমে যুক্ত হয়েছে’। এ কথা বলেছেন, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান।
ড. মো. আসাদুজ্জামান শিশির জানান, মাইক্রোবায়ালজি অধ্যয়নে মাধ্যমে যে সব ক্ষেত্রে কর্ম ও গবেষণার সুযোগ রয়েছে সেগুলো হল, একাডেমিয়ায়, হাসপাতালে, ক্লিনিক এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারে, বায়োমেডিকেল সেক্টরে, গবেষণা সংস্থায়, ফার্মাসিউটিক্যাল এবং খাদ্য শিল্পকারখানায়, বায়োটেক শিল্পকারখানায়, কৃষিখাতে, জৈবশক্তি উৎপাদনে, বর্জ্য ব্যবস্থাপনাখাতে, পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থায়, সরকারী এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থায়। দেখা যাচ্ছে, মানুষের জীবনের প্রতিটি স্তওে মাইক্রোবায়ালজির অর্জিত শিক্ষা ও জ্ঞান অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। আবার আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে এর গুরুত্ব অনেক বেড়ে গেছে। এ সব বিষয় বিবেচনায় রেখে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে মাইক্রোবায়ালজি বিভাগ যাত্রা শুরু করে। তিনি আরো জানান, মাইক্রোবায়োলজি উপদেষ্টা হিসেবে খ্যাতিমান অধ্যাপক, অভিজ্ঞ এবং মেধাবী শিক্ষক মন্ডলী, অত্যাধুনিক গবেষণাগার এবং আধুনিক যন্ত্রপাতি সুসজ্জিত চারটি আধুনিক মাইক্রোবায়োলজি ল্যাবরেটরি রয়েছে এই বিভাগে। ল্যাব গুলো হলো, জেনারেল মাইক্রোবায়োলজি ল্যাব, এডভান্স মলিকুলার ল্যাব, ফার্মাসিটিক্যাল মাইক্রোবায়ো লজিল্যাব ওক্লিনিক্যাল এন্ড ডায়াগনস্টিক মাইক্রো বায়োলজি ল্যাব। এছাড়াও আধুনিক ও সুসজ্জিত ডিজিটালাইজড শ্রেণীকক্ষ, হালনাগাদ পাঠ্য পুস্তক এবং রেফারেন্সবই সমৃদ্ধ লাইব্রেরি এবং সেমিনার নিয়ে এই নতুন বিভাগটি চালুকরা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদযাত্রা শুরুর প্রথম দিকেই ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের খ্যাতিমান অধ্যাপক ড.এ.বি.এম.মফিজুল ইসলাম পাটোয়ারী ১৯৯৫ সালে এ ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে ইউনিভার্সিটির ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ১২হাজার। বিশ্বেও বিভিন্ন দেশের ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী এখানে অধ্যয়ন করছে। এখানে শিক্ষকের সংখ্যা প্রায় ৩ শ’।
ইউনিভার্সিটির বোর্ড অবট্রাস্টির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, নব প্রতিষ্ঠিত মাইক্রো বায়োলজি বিভাগটি আমাদের প্রায় ২৯ বছরের অভিজ্ঞতার নিরিখে আমরা এ বিভাগ টিকে গড়ে তুলেছি। শিক্ষাথীরা এর সুফল ভোগকরতে পারবে। বোর্ড অব ট্রাস্টিও ভাইস চেয়ারম্যান ডা. মুহাম্মদ শহীদুল কাদিও পাটোয়ারী বলেন, এ ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. এ.বি.এম. মফিজুল ইসলাম পাটোয়ারী মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে মেয়েদের উচ্চ শিক্ষার জন্য এটি প্রতিষ্ঠা করেন। তাই অন্যান্য ইউনিভার্সিটির চেয়ে এখানে টিউশনফি কম। মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের টিউশন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা।
শিক্ষার্থী জামিল আহমেদ জানায় এখানে রয়েছে উন্নতমানের ল্যাবরেটরি। শিক্ষকদের আন্তরিকতায় আমার ভাবে জ্ঞারঅর্জন করেতে পারছি। অপর শিক্ষার্থী ছাবিহা খাতুন জানায়, এখানকার লেখাপড়ার পরিবেশ ভাল। এখানে রয়েছে উন্নতমানের ল্যাবরেটরি ও গ্রন্থাকার।
এই ইউনিভার্সিটির অন্যান্য কার্যক্রম ও সুযোগ-সুবিধা:
লাইব্রেরী সুবিধাঃ এখানে সু-সজ্জিত ও সমৃদ্ধ লাইব্রেরী রয়েছে। রয়েছে দেশী- বিদেশী পর্যাপ্ত বই ও জার্নাল। লাইব্রেরীতে শিক্ষার্থীরা সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত পড়াশুনা করতে পারে। প্রয়োজনে তারা লাইব্রেরী থেকে বই বাসায় নিয়ে পড়াশুনা করতে পারে। তাঁর জন্য রয়েছে লাইব্রেরীকার্ড। ই-লাইব্রেরীর কার্যক্রম চলছে।
গবেষণা ও প্রকাশনা সেলঃ প্রতিবছর এ সেল জার্নাল প্রকাশ । প্রত্যেক শিক্ষককে বছরে কম পক্ষে ২টি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করতে হয়।
ইন্টারনেট ও ল্যাবরেটরি সুবিধাঃ এ ইউনিভার্সিটি সম্পুর্ণ ওয়াই-ফাই এর আওতাভুক্ত। ইন্টারনেট সুবিধা থাকায় শিক্ষার্থীরা গবেষণা কাজে বিশেষ সুবিধা ভোগ করে থাকেন। অত্র ইউনিভার্সিটিতে রয়েছে অত্যাধুনিক মানসম্পন্ন প্রায় ৩১টি ল্যাবরেটরি।
ছাত্র-ছাত্রীদের আবাসিক সুবিধাঃ অত্র ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসের সন্নিকটে রয়েছে ৯টি হোস্টেল রয়েছে। তারমধ্যে ছেলেদের জন্য রয়েছে ৭টি এবং মেয়েদের জন্য রয়েছে ২টি হোস্টেল। আর দুটিহল নির্মানাধীন রয়েছে।
ট্যোবাকো কন্ট্রোল এ্যান্ড রিসার্চ সেলঃ এ দেশের ধুমপান বিরোধী আন্দোলনে অত্র ইউনিভার্সিটি টি.সি.আর.সি বিশেষ ভূমিকা পালন কওে আসছে।
হিউম্যান রাইটস এ্যাড ভোকেসী সেলঃ বাংলাদেশে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় এ সেল অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। সুবিধাবঞ্চিত, নিপিড়ীত ও অসহায় মানুষের আইনী সহায়তা প্রদানে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির হিউম্যান রাইটস এ্যাডভোকেসী সেল বদ্ধ পরিকর।
ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি এডুকেশন সেল (আই কিউ এসি)ঃ ‘হায়্যার এডুকেশন কোয়ালিটি এনহেন্সমেন্ট প্রজেক্ট (হেকেপ)’ ও ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী ৭টি বিভাগের সেলফ এ্যাসেসমেন্ট কমিটি ১ জুলাই ২০১৫ থেকে যথারীতি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
ডিবেটিং ক্লাবঃ এখানে রয়েছে ডিবেটিং ক্লাব। অত্র ইউনিভার্সিটির বির্তার্কিক দল ইউসিবি পাবলিক পার্লামেন্ট এটিএন বাংলা আয়োজিত ডিবেট প্রতিযোগিতায় দু’বার চ্যাম্পিয়ন ও একবার রানার্সআপ হয়।
কালচারাল ক্লাবঃ এখানকার কালচারাল ক্লাব বছরের বিভিন্ন সময় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মঞ্চনাটক ও সামাজিক সচেতনতামূলক পথ নাটকের আয়োজন করে থাকে।
স্পোর্টস ক্লাবঃ ইউনিভার্সিটির স্পোর্টস ক্লাব বছরের বিভিন্ন সময় ফুটবল, ক্রিকেট, দাবা, ভলিবল, হ্যান্ডবল ও ইনডোর গেমসের আয়োজন করে থাকে। এ সব খেলাধূলার জন্য পর্যাপ্ত মাঠ রয়েছে।
ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাবঃ শিক্ষার্থীদের ইংরেজী ভাষার উপর দক্ষতা অর্জনের লক্ষ্যে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সকল শিক্ষার্থীদেও ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ কোর্সকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বেসিক ইংলিশ, ফাংশনাল ইংলিশ, প্রিলিমিনারি ইংলিশ ও এ্যাডভান্সড্ ইংলিশ কোর্স ও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
পরিবহন সুবিধাঃ ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, কমকর্তা ও কর্মচারীদের ক্যাম্পাসে আসা যাওয়ার জন্য পরিবহন সুবিধা রয়েছে।। ঢাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে স্থায়ী ক্যাম্পাস সাতারকুলে আসার জন্য বাস ও শাটল সার্ভিস রয়েছে।
ক্যান্টিন সুবিধাঃ প্রতিটি ক্যাম্পাসে ছাত্র-শিক্ষকদের সুবিধার্থে নিজস্ব রুচি সম্মত ক্যান্টিন রয়েছে। শিক্ষার্থীরা সার্বক্ষণিক ক্যান্টিনের সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকেন।
বৃত্তিঃ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ২০১০- এরআইন অনুযায়ী দরিদ্র, মেধাবী ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের বৃত্তি প্রদান করা হয়। এ ছাড়া পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর ধারীদের বিনা বেতনে অধ্যয়নের সুযোগ রয়েছে।
স্বাস্থ্য সেবা সুবিধাঃ শিক্ষার্থীদের সার্বক্ষণিক সেবাদানের জন্য রয়েছেন পূর্ণকালীন অভিজ্ঞ চিকিৎসক।
মন্তব্য করুন