নোয়াখালীতে সাবেক সেনাপ্রধানের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ
_original_1738921785.jpg)
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় সাবেক সেনাপ্রধান মঈন ইউ আহমেদের গ্রামের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে চৌমুহনী পৌরসভার আলীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন বেগমগঞ্জ থানার ওসি লিটন দেওয়ান।
খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশের পৃথক দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে শতাধিক কিশোর-তরুণ ও যুবক লাঠিসোঠা নিয়ে মঈন ইউ আহমেদের গ্রামের বাড়িতে হামলা চালায়।
হামলাকারীরা মঈন ইউ আহমেদের ছোট ভাই জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি মিনহাজ আহমেদ জাবেদের দ্বিতল বসতঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এক পর্যায়ে তারা ড্রইংরুমে আগুন ধরিয়ে দেয়।
প্রায় একই সময় পাশের চৌমুহনী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আক্তার হোসেন ফয়সলের বাড়িতেও হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়।
আরও পড়ুনস্থানীয়রা জানান, হামলাকারীদের মধ্যে অনেকের মাথায় হেলমেট ও মুখে মাস্ক পরা ছিল। তবে হামলা-ভাঙচুরের সময় দুটি বাড়ির বাসিন্দাদের কেউ না থাকায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোয়াখালী জেলা শাখার আহ্বায়ক মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, চৌমুহনীর ঘটনাটি সেখানকার রাজনৈতিক। এই হামলা-ভাঙচুর কিংবা অগ্নিসংযোগের ঘটনার সঙ্গে তাদের সংগঠনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তাছাড়া তাদের যে কর্মসূচি ছিল সেটি ছিল বৃহস্পতিবার দিনের বেলায়।
ওসি লিটন বলেন, “সাবেক সেনা প্রধান মঈন ইউ আহমেদ ও তার ছোট ভাই জাবেদের বাড়িতে একদল লোক সন্ধ্যার পর হামলা-ভাঙচুর চালিয়েছে। সেসময় ওই ভবনে কেউ ছিল না। ”
“হামলাকারীরা ওই সময় ভবনের নিচ তলার সোফায় আগুন ধরিয়ে দেয়। কিছুক্ষণ পর সাবেক পৌর মেয়র ফয়সলের বাড়িতেও কিছুটা হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।”
মন্তব্য করুন