পূর্ণিমা’য় মুগ্ধ টুম্পা

অভি মঈনুদ্দীন ঃ বাংলাদেশের জনপ্রিয় নন্দিত নায়িকা দিলারা হানিফ পূর্ণিমা’র ভীষণ ভক্ত ফ্যাশন হাউজ গয়না বাকসো’র চেয়ারম্যান জান্নাতুল ফেরদৌস টুম্পা ফেরদৌস। আবার চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা’ও মাঝে মাঝে ‘গয়না বাকসো’র অনলাইন পেজ থেকে নিজের পছন্দসই জামাও কিনে নেন। মূলত পূর্ণিমার অভিনয়, তার ব্যক্তিত্বই টুম্পাকে ভীষণ মুগ্ধ করে। একটা সময় মনে মনে তারসঙ্গে দেখা করারও ইচ্ছে হলো। অবশেষে পূর্ণিমা’র সঙ্গে দেখা হলো টুম্পার।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওতে অবস্থিত স্যাটেলাইট চ্যানেল ‘চ্যানেল আই’য়ের চার নম্বর স্টুডিওতে রান্না বিষয়ক একটি অনুষ্ঠানে কেকা ফেরদৌসীর অতিথি হয়ে গিয়েছিলেন পূর্ণিমা। সেখানেই সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য আমন্ত্রণ পান টুম্পা। টুম্পা যখন চ্যানেল আইয়ের চার নম্বর স্টুডিওতে উপস্থিত হন তখন পূর্ণিমা মেকাপ নিচ্ছিলেন। পূর্ণিমা’কে দেখা মাত্রই টুম্পার ভেতর যেন এক অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করছিলো। দু’জনের মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময় হয়। মেকাপ শেষে পূর্ণিমা উঠে এলে তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন টুম্পা। এরপর ‘গয়না বাকসো’র পক্ষ থেকে পূর্ণিমার হাতে বিশেষ উপহারও তুলে দেয়া হয়।

একটা সময় গল্পে গল্পে পূর্ণিমাও শেয়ার করেন, কীভাবে কেমন করে গয়না বাকসো’র অনলাইন পেজ’র সাথে তার সম্পৃক্ততা ঘটলো। পূর্ণিমা’র কাছ থেকে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের গল্প শুনে ভীষণ মুগ্ধ হন টুম্পা। একজন নায়িকা হিসেবে পূর্ণিমা তার দীর্ঘদিনের অভিনয় জীবনে বহু ভক্তের মুখোমুখি হয়েছেন, তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন, ছবি তুলেছেন। কিন্তু টুম্পার বিষয়টা একেবারেই আলাদা। কারণ টুম্পা যখন লাইভে নতুন নতুন জামা শাড়ি নিয়ে উপস্থিত হন, তখন মাঝে মাঝে তা চোখে পড়ে পূর্ণিমা’র। সেই লাইভ থেকেও নিজের পছন্দসই জামাও অর্ডার করেন পূর্ণিমা।

এভাবেই গয়না বাকসো’র সাথে পূর্ণিমার নিজের ভালোলাগা থেকেই এক ধরনের সম্পৃক্ততার সৃষ্টি। মোবাইলে, ক্যামেরায় দু’জন ছবি তোলা শেষেই পূর্ণিমার ডাক আসে শুটিং সেট-এ যাবার। পূর্ণিমা টুম্পাকে নিয়ে সেট-এ যান, কেকা ফেরদৌসীর সঙ্গে পরিচয়ও করিয়ে দেন টুম্পাকে।

বগুড়ার শেরপুরে চোরচক্রের ২ সদস্য গ্রেফতার : ২৯টি  ব্যাটারি ও ১০৫টি গ্যাস সিলিন্ডার উদ্ধার

কাবাডিতে ব্রোঞ্জ জয়ি মেয়েদের জন্য ক্রীড়া উপদেষ্টার অনুদান 

সাফে হোম-অ্যাওয়ে পদ্ধতি বাদ, সেন্ট্রাল ভেন্যুর প্রস্তাব

কেকা ফেরদৌসী তখন বলেন, পূর্ণিমা তোমার অতিথিকে বসতো বলো, আমরা রান্না করার পর খেয়ে যাবে। এরপর অনেকটা সময় টুম্পা বসে থেকে পূর্ণিমার অনুষ্ঠান সরাসরি উপভোগ করা শেষে বিদায় নিয়ে আসেন। পূর্ণিমা বলেন,‘ টুম্পার সঙ্গে সময়টা ছকে বাঁধা জীবনের বাইরের সময়। একটা অন্যরকম সময় কাটলো। টুম্পার আন্তরিকতা মুগ্ধ করেছে।’

টুম্পা বলেন,‘ জীবনে কিছু মুহুর্ত আসে সারা জীবন মনে গেঁথে থাকার জন্য। পূর্ণিমা আপুকে আমার সবসময়ই ভীষণ ভালোলাগে। তার অভিনয়, তার ব্যক্তিত্ব, তার ভীষণ সুন্দর মুখের মিষ্টি হাসি আমাকে মুগ্ধ করে। সেই তিনি আমাকে এভাবে এমন করে আপন করে নিবেন, কল্পনাও করিনি কোনোদিন। আমাকে তিনি এতো সম্মান করলেন যা ভাবাই যায়না। ধন্যবাদ অভি মঈনুদ্দীন ভাইকে এই সুন্দর সময়টুকু উপহার দেবার জন্য।’