পাবনায় সাঁথিয়ায় পেঁয়াজ রোপণে ব্যস্ত কৃষক শ্রমিকের কাজ করছে স্কুলের ছাত্ররা

পাবনায় সাঁথিয়ায় পেঁয়াজ রোপণে ব্যস্ত কৃষক শ্রমিকের কাজ করছে স্কুলের ছাত্ররা

সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি: পাবনায় সাঁথিয়া চলতি বছর পেঁয়াজের রোপণ শুরু করে দিয়েছে কৃষকেরা। বাজার দাম কম, বীজের দাম বেশি ও শ্রমিকের বাজার চড়া থাকায় হতাশায় ভুগছে কৃষক। দেশের প্রায় ৭০ ভাগ পেঁয়াজের চাহিদা পূরণে সক্ষম হলেও গতবছর দাম কম থাকায় ভালো নেই পাবনার চাষিরা।

পাবনার সাঁথিয়া কৃষি অফিস ও কৃষক সূত্রে জানা যায়, সাঁথিয়া উপজেলায় ১৬ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে উপজেলা কৃষি অফিস। ইতোমধ্যে প্রায় ৩০ ভাগ জমিতে পেঁয়াজ রোপণ শেষ হয়েছে। জানুয়ারির মাঝামাঝিতে এ উপজেলার কৃষকরা শতভাগ পেঁয়াজ রোপণ শেষ করতে পারবে। বর্ষা মৌসুমে জমিতে জলাবদ্ধতা থাকার কারণে পেঁয়াজের বীজতলা তৈরি ও রোপণ বিলম্ব হয়ে থাকে।

ইতোমধ্যে উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ঘুঘুদহ বিল, মুক্তার বিল, সোনাই বিল, ঝিনাইদহ বিলসহ বিভিন্ন বিল পারে কৃষকদের ব্যস্ত সময় কাটছে পেঁয়াজ রোপণে। কৃষকরা কুয়াশা ও তীব্র শীত উপেক্ষা করে শ্রমিক নিয়ে মাঠে উপস্থিত হচ্ছে। তারা ইঞ্জিনচালিত মেশিন দ্বারা জমি চাষ করে সঠিক পরিমাপে সার ছিটিয়ে পেঁয়াজ রোপণের কাজ শুরু করছে। এ কাজে পরিবারের অন্য সদস্যরাও পেঁয়াজ মৌসুমে বসে নেই।

সরেজমিন গত সোমবার দুপুরে ঘুঘুদহ বিলে পারে গিয়ে দেখা যায় দলবদ্ধ হয়ে কৃষক ও শ্রমিকেরা পেঁয়াজ রোপণ করছে। স্থানীয় হুইখালী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র আব্দুল জব্বার ও পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র জানিক জানান, স্কুল বন্ধ থাকায় তারা চারশ’ টাকা করে শ্রমিকের কাজ করছে। বড় শ্রমিকের দর ৮শ’ টাকা হলেও তাদের দর ৪শ’ টাকা দেয়া বৈষম্য হচ্ছে বলে জানান ওই দুই ছাত্র।

সাঁথিয়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের পেঁয়াজ চাষিদের দাবি কৃষি অফিসের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা যদি ভালভাবে মাঠে সরেজমিন তদারকি করতো এবং চাষিদের নিয়মিত পরামর্শ দেয় তাহলে ভালভাবে পরিচর্যা করে পেঁয়াজের ভাল উৎপাদন করা সম্ভব।

সাঁথিয়া উপজেলার কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. মাহমুদুল হাসান জানান, একজন সুপারভাইজারকে কয়েকটি গ্রামের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আমরা খুবই জনবল সংকটে ভুগছি। এ নিয়েই যতটুকু চেষ্টা করা যায় কৃষকদের সহায়তা করছি। চলতি বছর ২ হাজার ১৭০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়। এখন পেঁয়াজ রোপণের ভরা মৌসুম চলছে।

পোস্ট লিংক : https://karatoa.com.bd/article/152264