বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার পিন্টু হত্যাকান্ডের প্রধান অভিযুক্ত গ্রেফতার

বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার পিন্টু হত্যাকান্ডের প্রধান অভিযুক্ত গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার : র‌্যাব-১২, সিপিএসসি বগুড়া এবং র‌্যাব-১ সিপিসি-২ উত্তরা এর যৌথ অভিযানে বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার আলোচিত লোটো শোরুমের ম্যানেজার পিন্টু আকন্দ (৩৮) হত্যা মামলার তদন্তেপ্রাপ্ত অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত মোঃ মোক্তার হোসেন (৩৫)কে গাজীপুরের টঙ্গি পূর্ব থানাধীন ষ্টেশন রোড এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়েছে।

র‌্যাব সূত্র জানায়, পিন্টু আকন্দ (৩৮) বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া উপজেলার সিও অফিস মোড় সংলগ্ন খন্দকার মার্কেটে তৌফিক এলাহী সুজনের লোটো শোরুমের ম্যানেজার পদে প্রায় ৩ বছর ধরে কর্মরত ছিলেন। গত ২২ ডিসেম্বর দোকানে কেনা-বেচা শেষে রাত ৯টার দিকে শোরুম বন্ধ করার জন্য মালামাল ঠিক করা এবং পরিষ্কার করার সময় অজ্ঞাতনামা ৬/৭ জন দুষ্কৃতিকারী শোরুমের ভেতর প্রবেশ করে এবং তার সাথে কথাবার্তার এক পর্যায়ে অপহরণ করে শোরুমের সামনে রাখা একটি সাদা মাইক্রোবাসে করে সিও অফিস মোড় হতে নওগাঁ সড়কের দিকে চলে যায়।

পরে এই সংবাদ পেয়ে তার পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে তাকে খোঁজ খবর করতে থাকে। সিসি টিভির ফুটেজ বের করে দেখা যায় যে, মাইক্রোবাসটির রেজিঃ ঢাকা মেট্রো চ-১৫-৩২৬৮। খোঁজাখোজির এক পর্যায়ে তার পরিবার জানতে পারে যে, আদমদিঘী উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নের কোমরভোগ হতে কোমরপুরগামী পাকা রাস্তার ওপর পুকুরের পাশে ওই মাইক্রোবাসে অপহরণকারীরা তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে গেছে।

পরে ওই স্থানে গিয়ে দেখা যায় তার নাকে মুখে সাদা স্কচটেপ লাগানো এবং শোয়ানো অবস্থায় দু-হাত উপরের দিকে দেয়া আছে এবং নাক দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে।এ ঘটনায় তার স্ত্রী বাদি হয়ে দুপচাঁচিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এ হত্যার ঘটনার রহস্য উৎঘাটনের জন্য র‌্যাব-১২ সিপিএসসি বগুড়া তদন্ত শুরু করে, তদন্তের এক পর্যায়ে বিভিন্ন প্রত্যক্ষদর্শী এবং পুলিশের মাধ্যমে প্রাপ্ত সন্দিগ্ধ কিছু অভিযুক্তের প্রতি গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত রোববার রাতে র‌্যাব -১২ সিপিএসসি বগুড়া এবং র‌্যাব -১ সিপিসি-২ উত্তরার যৌথ আভিযানিক দল গাজীপুর জেলার টঙ্গি পূর্ব থানাধীন ষ্টেশন রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত মোঃ মোক্তার হোসেন (৩৫) কে গ্রেফতার করে। সে দুপচাঁচিয়ার কনকাই গ্রামের মোঃ আহাদ আলীর ছেলে।

পোস্ট লিংক : https://karatoa.com.bd/article/151999