হলুদ চাষে ভাগ্য ফিরেছে রংপুরের তারাগঞ্জের কৃষকদের

হলুদ চাষে ভাগ্য ফিরেছে রংপুরের তারাগঞ্জের কৃষকদের

তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি: রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় হলুদ চাষ করে ভাগ্য ফিরেছে কৃষকদের। মসলা জাতীয় এ ফসল রান্নার পাশাপাশি ভেষজ চিকিৎসা, প্রসাধনী, রঙ শিল্পসহ নানা কাজে ব্যবহৃত হয়। প্রতিদিনের রান্নায় অপরিহার্য এ ফসলের চাহিদা রয়েছে সারাবছরই। অল্প জমিতে কম খরচে বেশি উৎপাদিত এ ফসলে গরু-ছাগল কিংবা পোকা-মাকড়ের আক্রমণ নেই বললেই চলে। ফলে ফসলহানির আশঙ্কাও কম। চাষিরা জানান, পরিত্যক্ত জমিতে হলুদ সবচেয়ে ভালো হয়। 

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ৯ একর জমিতে হলুদ চাষ হয়েছে। এবার হলুদের ভালো ফলন এবং মৌসুমের শুরুতে দাম বেশি পাওয়ায় চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে। গত শুক্রবার তারাগঞ্জ হাটে গিয়ে দেখা যায়, ১৪-১৫ টাকা পাইকারি কেজি দরে কাঁচা হলুদ বিক্রি করছেন কৃষকরা। 

সয়ার ইউনিয়নের বুড়িরহাট গ্রামের কৃষক আজিজুল ইসলাম বলেন, হলুদ চাষে তেমন কোন খরচ হয় না। এবার ১৩০ শতক জমিতে ৩০ হাজার টাকা খরচ করে হলুদ চাষ করেছেন তিনি। হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের পাতাইপাড়া গ্রামের  মজিদ সরকার বলেন, হলুদ চাষে তেমন খরচ নেই। বাজারে কাঁচা হলুদ ৫৮০ টাকা মণ দরে পাইকারি বিক্রি করেছেন তিনি। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ধীবা রানী রায় বলেন, হলুদ হলো লাভজনক ফসল। এ উপজেলায় হলুদের চাষ বাড়ছে। হলুদ চাষে ঝুঁকি নেই, খরচও কম। ক্ষেতে কোন পোকা আক্রমণ করে না। পরিচর্যাও তেমন করতে হয় না।

পোস্ট লিংক : https://karatoa.com.bd/article/151839