বগুড়ায় বিশেষায়িত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সময়ের দাবি

বগুড়ায় বিশেষায়িত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সময়ের দাবি

বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদন্ড কৃষি। কিন্তু বাংলাদেশের এই কৃষি আজ আর শুধু ধান-পাট-আালু চাষ নয়, বরং এক বিশাল ব্যবসায়িক সাম্রাজ্যে রূপান্তরিত হওয়ার অপেক্ষায় আছে। যখন খাদ্য নিরাপত্তার পাশাপাশি কর্মসংস্থান, রপ্তানি আয় ও আঞ্চলিক বৈষম্য কমানোর প্রশ্ন উঠছে, তখন কৃষিভিত্তিক উদ্যোক্তা উন্নয়ন এখন আর বিলাসিতা নয় বরং এটি জরুরি জাতীয় প্রয়োজন। বিশ্বব্যাংকের হিসেবে, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের ৭০ শতাংশ তরুণ জনগোষ্ঠিকে কর্মে লাগাতে না পারলে আমরা ডেমোগ্রাফিক ডিজাস্টারের মুখে পড়ব। সেই কর্মসংস্থানের সবচেয়ে বড় ক্ষেত্র হতে পারে কৃষিভিত্তিক উদ্যোক্তা।

১৯৭১-এ যে বৈষম্যহীন ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম, আজ অর্ধশতাব্দী পরেও সেই স্বপ্ন অধরা রয়ে গেছে। আঞ্চলিক বৈষম্য, লিঙ্গ বৈষম্য, অর্থনৈতিক বৈষম্য সবই এখনো আছে কৃষির মতো মেরুদন্ড খাতে। উত্তরবঙ্গকে আজও ‘শস্যভান্ডার’ বলা হয়, কিন্তু সেখানকার মাটির সন্তানেরা অন্যান্য অঞ্চলে তুলনায় অনেক পিছিয়ে। ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলন আমাদের আবার স্মরণ করিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ এখনো বৈষম্যমুক্ত হয়নি। ‘কোটাবিহীন বাংলাদেশ’, ‘কোটামুক্ত বাংলাদেশ’ শুধু স্লোগান নয়-এটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনারই পুনর্জন্ম। ২০২৪-এর আন্দোলন আমাদের বলেছে এখন সময় এসেছে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণের । আর সেই বিনির্মাণের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হতে পারে কৃষিভিত্তিক উদ্যোক্তা উন্নয়ন।

 কেন? কারণ কৃষিই পারে একসাথে তিনটি কাজ করতে- (১) আঞ্চলিক বৈষম্য কমাতে; (২) নারী ক্ষমতায়ন করতে (গ্রামীণ নারীরা প্রক্রিয়াজাত শিল্প-স্টার্টআপে নেতৃত্ব নিতে পারে) ও (৩) টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে (জলবায়ু-স্মার্টূ কৃষি, ভ্যালু চেইনের মাধ্যমে)। বিশ্বব্যাংক বলছে, ২০৩০ সালের মধ্যে আমাদের ৭০ শতাংশ তরুণকে কর্মে লাগাতে না পারলে ডেমোগ্রাফিক ডিজাস্টার আসবে। সেই কর্মসংস্থানের সবচেয়ে শক্তিশালী ক্ষেত্র কৃষিভিত্তিক উদ্যোক্তা। ২০২৪-এর আন্দোলন যেমন রক্ত দিয়ে বৈষম্যের শেকল ভেঙেছে, তেমনি কৃষিভিত্তিক উদ্যোক্তারাই এখন ভাঙবে অর্থনৈতিক বৈষম্যের শেকল।

বিশ্বে অ্যাগ্রিপ্রেনিউরশিপ আজ ট্রেন্ড। ইসরায়েলের ড্রিপ ইরিগেশন থেকে শুরু করে কেনিয়ার মপেসা  ভিত্তিক কৃষি লোন, নেদারল্যান্ডসের গ্রিনহাউস প্রযুক্তি-সবই দেখাচ্ছে কৃষি এখন আর গ্রাম্য পেশা নয়, বরং হাইটেক ব্যবসা। বাংলাদেশে এর গুরুত্ব আরও বেশি কারণ আমাদের ৪৫ শতাংশেরও বেশি কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী কৃষির সাথে জড়িত, কিন্তু তাদের আয় স্থবির। উত্তরবঙ্গকে আমরা ‘শস্যভান্ডার’ বলি ঠিকিই, কিন্তু সেই সব শস্যের ন্যায্যমূল্য কৃষক পায় না, পায় মধ্যস্বত্বভোগী আর দালালরা। কৃষিভিত্তিক উদ্যোক্তা উন্নয়নই পারে এই আঞ্চলিক বৈষম্য কমিয়ে দেশের অর্থনীতির ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে। সাধারণ কৃষক যেখানে শুধু ফসল ফলান, সেখানে অ্যাগ্রিপ্রেনিউর ফসল ফলানোর পাশাপাশি প্রক্রিয়াজাত করেন, ব্র্যান্ডিং করেন, রপ্তানি করেন, প্রযুক্তি ব্যবহার করেন এবং লাভের বড় অংশ নিজে রাখেন। আজকের তরুণরা আর চাকরির পেছনে ছুটছে না; তারা ড্রোন দিয়ে জমি স্প্রে করছে, অ্যাপে বাজার খুঁজছে, কোল্ড স্টোরেজ বানাচ্ছে। উত্তরবঙ্গের বগুড়া, রংপুর, দিনাজপুরের তরুণরা এই কাজে এগিয়ে আসছে। বাংলাদেশে কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহার এখনো ১০ শতাংশের নিচে। অথচ ড্রোন, সেন্সর, এআই-ভিত্তিক আবহাওয়া পূর্বাভাস, হাইব্রিড বীজ এসবের সম্ভাবনা অসীম। ভ্যালু চেইন উন্নয়নের মাধ্যমে আলু থেকে চিপস, ফ্লেক্স, স্টার্চ; আম থেকে জ্যাম, জুস, পাল্প; মাছ থেকে ফিলে রপ্তানি- এসবের মাধ্যমে লভ্যাংশ ৫-১০ গুণ বাড়াতে পারে। উত্তরবঙ্গে শুধূ আলুর উৎপাদনই ৯০ লাখ টন ছাড়িয়েছে। কিন্তু ৭০ শতাংশই নষ্ট হয় বা কম দামে বিক্রি হয়। আধুনিক উন্নত প্রযুক্তি সম্পন্ন কোল্ড স্টোরেজ ও প্রক্রিয়াজাত শিল্প গড়ে তুললে এই অঞ্চল এককভাবে ৫০ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যবসা তৈরি করতে পারে। উত্তরবঙ্গের মাটি উর্বর, পানি আছে, আবহাওয়া বৈচিত্র্যময়। আলু ভুট্টা, সবজি, ডাল, তেলবীজ, আম, লিচু সবই হয়।

কিন্তু করণীয় কী? এ প্রশ্নের উত্তর একটাই - সবচেয়ে জরুরি এবং কৌশলগত পদক্ষেপ হলো বগুড়ায় একটি পূর্ণাঙ্গ স্পেশালাইজড কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা। এটা কোনো সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হবে না; এটা হবে উত্তরবঙ্গের কৃষি অর্থনীতির ‘হার্টবিট’ যে প্রতিষ্ঠান শুধু ডিগ্রি দেবে না, বরং পুরো অঞ্চলের কৃষিকে আধুনিক, লাভজনক এবং রপ্তানিযোগ্য শিল্পে রুপান্তরিত করবে। ভৌগোলিকভাবে বগুড়া উত্তরবেঙ্গর প্রাণকেন্দ্র। যমুনা সেতু ও ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের সংযোগে এটি ঢাকার সাথে মাত্র ৩-৪ ঘন্টার দূরত্বে। রেল নেটওয়ার্ক কাজ চলমান। এখানে দেশের সবচেয়ে বড় দুধ-আলু-সবজির বাজার। আশেপাশের জেলাগুলো (রংপুর, দিনাজপুর, জয়পুরহাট, নওগাঁ, রাজশাহী) থেকে কৃষক-উদ্যোক্তারা সহজেই আসতে পারবেন। শস্য বৈচিত্র্য অসাধারণ-আলু, ভুট্টা, সবজি, ডাল, তেলবীজ, আম, লিচু, দুধ সবই এখানে প্রচুর ফলে। অথচ এই সম্পদের সাথে মিলিয়ে গবেষণা বা উচ্চশিক্ষার কোনো স্পেশালাইজড কেন্দ্র নেই। 

বগুড়ার জন্য প্রস্তাবিত এই স্পেশালাইজড কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেবল একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই নয়, হবে সমগ্র উত্তরবঙ্গের কৃষি-অর্থনীতির রূপান্তরের ‘ইঞ্জিন’। যুক্তরাষ্ট্রের ল্যান্ড-গ্রান্ট বিশ্ববিদ্যালয় মডেলটি যেমন কৃষি, প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে একটি বিপ্লব সাধন করেছিল। ১৮৬২ সালের মরিল অ্যাক্টের মাধ্যমে গড়ে ওঠা এই ল্যান্ড-গ্রান্ট বিশ্ববিদ্যালয় মডেলের প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রামীণ আমেরিকাকে খদ্যশস্যের অভাব থেকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় কৃষি শক্তিতে রূপান্তরিত করেছিল।

এই মডেলের তিনটি স্তম্ভ শিক্ষা, গবেষণা ও এক্সটেনশন সার্ভিস পরস্পর যুক্তভাবে কাজ করে একটি continuous feedback loop তৈরি করে যা কৃষকদের জীবন বদলে দেয়। শিক্ষা শুধু তত্ত্বীয় জ্ঞান দেবে না, তৈরি করবে প্রয়োগ-দক্ষ ‘অ্যাগ্রিপ্রেনিউর’। শিক্ষার্থীরা ক্লাসরুমের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা খামার, পাইলট প্রসেসিং প্ল্যান্ট ও মাঠে সরাসরি প্রশিক্ষণ পাবে। দ্বিতীয়ত, গবেষণা হবে উত্তরবঙ্গকেন্দ্রিক বন্যা-খরা সহিষ্ণু জাত, মাটির লবণাক্ততা কমানোর প্রযুক্তি, পোস্ট-হার্ভেস্ট লস কমানোর উপায় এসব নিয়েই কাজ হবে। তৃতীয় এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো এক্সটেনশন সার্ভিস। এখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সরাসরি কৃষকের দোরগড়ায় পৌছেঁ যাবে, নতুন জাত-প্রযুক্তি বিনামূল্যে বা স্বল্পমূল্যে হস্তান্তর করবে এবং কৃষকদের সমস্যা আবার গবেষণার এজেন্ডায় ফিরে আসবে- যাকে বলে continuous feedback loop। এর মাধ্যমে বগুড়ার বিশ্ববিদ্যালয় সরাসরি জাতিসংঘের Sustainable Development Goals (SDG)-এর একাধিক লক্ষ্য অর্জনে অবদান রাখবে এবং প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুসের Three Zeros-মডেলকে (Zero Poverty, Zero Unemployment, Zero Net Carbon Emissions)  বাস্তবায়নের শক্তিশালী হাতিয়ার হয়ে উঠবে।

কীভাবে? • SDG 2 (Zero Hunger):  এক্সটেনশন সার্ভিসের মাধ্যমে উচ্চফলনশীল, রোগপ্রতিরোধী জাত ও প্রযুক্তি কৃষকের কাছে পৌঁছে গেলে উৎপাদন বাড়বে, পোস্ট-হার্ভেস্ট লস কমবে, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।

SDG 1 (No Poverty) ও Three Zeros-Gi Zero Poverty: অ্যাগ্রিপ্রেনিউরশিপ প্রশিক্ষণ ও ইনকিউবেশন সেন্টারের মাধ্যমে কৃষক ও তরুণরা নিজেরাই প্রক্রিয়াজাত শিল্প, কোল্ড স্টোরেজ, ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলবে আয় ৫-১০ গুণ বাড়বে।

SDG 4 (Decent Work & Economic Growth)  Three Zeros-Gi Zero Unemployment:: প্রতি বছর ৫০০-১০০০০ প্রশিক্ষিত অ্যাগ্রিপ্রেনিউর তৈরি হবে, যারা আবার লাখ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। উত্তরবঙ্গের তরুণরা আর ঢাকা-চট্টগ্রামে চাকরি খুঁজতে যাবে না।

SDG 13 (Climate Action) ও Three Zeros-Gi Zero Net Carbon Emissions: জলবায়ু-স্মার্ট কৃষি, কার্বন সিকোয়েস্ট্রেশন, জৈব সার, ড্রিপ ইরগেশন, রিজেনারেটিভ অ্যাগ্রিকালচার-এসব নিয়েই গবেষণা হবে এবং এক্সটেনশনের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। ফলে কার্বন নির্গমন কমবে, মাটির স্বাস্থ্য ভালো হবে।

SDG 5 (Gender Equality): : নারীদের জন্য বিশেষ কোটা, প্রশিক্ষণ ও ইনকিউবেশন সুবিধা রাখা যাতে গ্রামীণ নারীরা ফুড প্রসেসিং, প্যাকেজিং, অনলাইন মার্কেটিং-এ নেতৃত্ব দিতে পারে।“ইনকিউবেশন সেন্টার” গড়ে তুলতে হবে যেখানে তরুণ উদ্যোক্তারা তাদের আইডিয়া নিয়ে আসবে, প্রোটোটাইপ তৈরি করবে, টেস্টিং করবে, বিনিয়োগকারী পাবে। এখানে থাকবে পাইলট প্ল্যান্ট যেমন ছোট কোল্ড স্টোরেজ, ফুড প্রসেসিং ইউনিট, ড্রাইং-ডিহাইড্রেশন মেশিন। ভারতের গোবিন্দ বল্লভ পন্ত কৃষি ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বা আইসিএআর-এর মতো মডেলে এখান থেকে প্রতি বছর ৩০০-৫০০ অ্যাগ্রিপ্রেনিউর তৈরি হতে পারে। এক্সটেনশন সার্ভিসের মাধ্যমে গবেষণার ফল সরাসরি কৃষকের কাছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা উত্তরবঙ্গের কৃষিতে সমস্যা, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও নতুন জাত নিয়ে কাজ করবেন। তাদের আবিষ্কার সরাসরি কৃষকের জমিতে পৌঁছে যাবে যেমন আমেরিকার কো-অপারেটিভ এক্সটেনশন সিস্টেম করে। ফলে পোস্ট-হার্ভেস্ট লস ২৫-৩০% থেকে নেমে ৫-১০% এ আসবে। কোল্ড চেইন ও প্রক্রিয়াজাত শিল্পের নতুন প্রযুক্তি স্থানীয়ভাবে তৈরি হবে। সরকারকে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ঘোষণা করে বগুড়া-রংপুর-দিনাজপুরে অ্যাগ্রো-প্রসেসিং জোন করতে হবে। ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিতে হবে কৃষি উদ্যোক্তাদের জন্য ৫ শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়ার। কৃষি প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, স্টার্টআপ অ্যাক্সেলেটর প্রোগ্রাম চালু করতে হবে। সফলতার উদাহরণ হিসেবে আছে প্রাণ-আরএফএল নাটোর থেকে শুরু করে আজ দেশের বৃহত্তম অ্যাগ্রো-প্রসেসিং কোম্পানি। বগুড়ার ‘আলু চিপস’ ব্র্যান্ড, ‘বোম্বে সুইটস’ আজ বিদেশে রপ্তানি করছে। রংপুরের ‘স্কয়ার ফুড’ আমের পাল্প রপ্তানি করছে। এরা দেখিয়েছে পথ। এখন দরকার হাজারো এমন উদ্যোক্তা। 

উত্তরবঙ্গ শস্যভান্ডার থেকে উদ্যোক্তা ভান্ডারে রূপান্তরিত হলে বাংলাদেশের কৃষি অর্থনীতি নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে। বগুড়ায় একটি স্পেশালাইজড কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হলে এ অঞ্চল শুধু খাদ্যই দেবে না, দেবে হাজার হাজার তরুণ উদ্যোক্তা, লাখ লাখ কর্মসংস্থান আর শত শত কোটি টাকার রপ্তানি আয়। এ দেশের ভাগ্য বদলে দেবে। সময় এসেছে সিদ্ধান্ত নেওয়ার। শস্যভান্ডারকে উদ্যোক্তা শক্তিতে রূপান্তরের। 

লেখক

প্রফেসর ড. সামিউল তুষার

পরিচালক (ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা)
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট এবং পরিচালনা পর্ষদ সদস্য, 
আরডিএ বগুড়া।

পোস্ট লিংক : https://karatoa.com.bd/article/151815