বগুড়ার বাজারে আগাম আলুর ব্যাপক সরবরাহে দামে ধস

বগুড়ার বাজারে আগাম আলুর ব্যাপক সরবরাহে দামে ধস

স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ার বাজারগুলো ব্যাপকহারে সরবরাহ বেড়েছে স্বল্পমেয়াদি আগাম আলুর। তবে এই আগাম আলুর ফলনে কৃষকের মুখে হাসি নেই। গত বছরের তুলনায় বাজারে আলুর দামে বড় ধস নামায় দিশেহারা কৃষক।

কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত বছর আগাম আলু প্রতি মণ ১৮শ’ থেকে থেকে ২৪শ’ টাকায় বিক্রি হয়। নতুন আলুর চাহিদা বেশি থাকায় সেসময় কৃষকরা তুলনামূলক ভালো দাম পান। অন্যদিকে চলতি বছর আগাম আলু প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৭শ’ থেকে ১৩শ’ টাকায়। এই দামে উৎপাদন খরচই উঠছে না বলে দাবি কৃষকের।

তারা জানান, চলতি মৌসুমে সার, বীজ, কীটনাশক, সেচ ও শ্রমিকের মজুরি সবকিছুর দাম বেড়েছে। এক বিঘা জমিতে আলু চাষ করতে যেখানে গত বছর তুলনামূলক কম খরচ হয়েছিল, সেখানে এবার খরচ বেড়েছে। অথচ বাজারে দাম কম থাকায় লোকসানের শঙ্কায় কপালে চিন্তার ভাঁজ তাদের।

এদিকে আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বগুড়ার পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি নতুন আলু মানভেদে সর্বনিম্ন ১৮ থেকে সর্বোচ্চ ৩২ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। আর খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি আলু মানভেদে ২৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হয়।

আলুর পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে এখনও বিপুল পরিমাণ পুরনো আলু মজুত থাকায় নতুন আলুর প্রতি আগ্রহ কম। তারা বলছেন, গত বছরের আলু সারা বছর কম দামে বিক্রি হয়েছে এবং অনেক পুরনো আলু এখনও বাজারে আছে। তাই নতুন আলুর দামে ধস নেমেছে। পাশাপাশি নতুন আলুর সরবরাহ তুলনামূলক বেশি।

বগুড়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর প্রায় দুই হাজার হেক্টর জমিতে আগাম আলু চাষ হয়েছে। প্রতি হেক্টরে গড়ে প্রায় ১৭ মেট্রিকটন ফলন পাওয়া গেছে। এ বছর ৫৫ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়, যেখানে গত বছর চাষ হয়েছিল ৬০ হাজার ৪৩৫ হেক্টর।

বগুড়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফরিদুর রহমান বলেন, গত বছর আলুর দাম সারা বছর কম থাকায় চলতি মৌসুমে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ধরা হয়েছে। বাজারে পুরনো আলুর সরবরাহ বেশি থাকায় নতুন আগাম আলুর দাম তুলনামূলক কম।

পোস্ট লিংক : https://karatoa.com.bd/article/151497