তারেক রহমানের নিরাপত্তায় সতর্ক অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
দীর্ঘ ১৭ বছর পর বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিমানবন্দর ও ৩০০ ফিটসহ রাজধানীতে সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। বিজিবি ও সেনবাহিনীও রয়েছে সতর্কাবস্থানে।
ডিএমপির ৫০টি থানাকেও দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তার জোরদারের নির্দেশনা। গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় ৯টি চেকপোস্টসহ আশপাশে এলাকায় বিশেষ ব্যবস্থায় চেকপোস্ট রয়েছে। সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করছেন র্যাব ও ডিএমপির গোয়েন্দারা। নিরাপত্তা নিশ্চিতে মাঠে রয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের সোয়াট টিম, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা। ইতোমধ্যে নিনরাপত্তা জোদারের অংশ হিসেবে বিমানবন্দর, গুলশান ও এভারকেয়ার হাসপাতাল এলাকায় ড্রোন ওড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ডিএমপি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সূত্র বলছে, তারেক রহমান আগমনে পুলিশসহ অন্যান্য সংস্থার দুই হাজারের বেশি সদস্য মোতায়েন রয়েছেন। নিরাপত্তা পরিকল্পনায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, সেখান থেকে ৩০০ ফিট সমাবেশ মঞ্চ, এরপর এভারকেয়ার হাসপাতাল হয়ে গুলশান পর্যন্ত যাওয়ার রাস্তা ও তার বাসভবনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র আরও জানায়, তারেক রহমান বিমানবন্দরে আসার পর তাকে বহনকারী গাড়ির আগে-পিছে পুলিশ প্রটেকশন দেবে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ইউনিফর্মধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও গোয়েন্দারা তারেক রহমানের নিরাপত্তার দিকটি দেখভাল দেখছেন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিতে কাজ করতে দেখা যায় পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, এপিবিএন, আনসার, ব্যাটালিয়ন আনসারসহ সেনাবাহিনী সদস্যদের। নিরাপত্তা জোরদারে বিমানবন্দর, ৩০০ ফিট ও গুলশানসহ রাজধানীর অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিবি সদর দফতর। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিমানবন্দরে আনসার গার্ডের নিয়মিত সদস্যদের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট ও পেট্রোল ডিউটিতে অতিরিক্ত ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
পোস্ট লিংক : https://karatoa.com.bd/article/151425