বগুড়ার সোনাতলায় বাড়ছে মাটির তৈরি হাড়ি-পাতিলের কদর

বগুড়ার সোনাতলায় বাড়ছে মাটির তৈরি হাড়ি-পাতিলের কদর

সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি : সোনাতলায় আধুনিক যুগেও মাটির তৈরি হাড়ি-পাতিলের কদর কমেনি। প্লাস্টিক ও সিলভারের জিনিসপত্রের সাথে পাল্লা দিয়েই টিকে আছে মৃৎশিল্প। উপজেলার বালুয়া ইউনিয়নের বামুনিয়া গ্রামে রয়েছে পাল বংশের শতাধিক পরিবার। সেই পরিবারগুলোতে রয়েছে তিন শতাধিক সদস্যের বসবাস।

তারা মাটির তৈরি হাড়ি-পাতিলের পাশাপাশি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তৈরি করে বাজারজাত করছেন। এমনকি আধুনিক যুগেও তাদের তৈরি মৃৎশিল্পের নিত্য প্রয়োজনীয় পারিবারিক জিনিসপত্রের কদর কমেনি। বরং প্লাস্টিক ও সিলভারের জিনিসপত্রের সাথে পাল্লা দিয়েই টিকে রয়েছে।

আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে মাটির তৈরি পারিবারিক কাজে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিক্রি করতে দেখা গেছে। বিভিন্ন তৈজসপত্রের আকার ও আকৃতির ওপর দাম নির্ধারণ করে বিক্রি চলছে। ২০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০ টাকা দামে এসকল হাড়ি-পাতিল ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গ্রাম-গঞ্জের বধূরা টাকা, ধান ও চালের বিনিময়ে কিনতে দেখা গেছে।

হলিদাবগা গ্রামের গৃহবধূ তিথি বেগম ও পাকুল্লা গ্রামের শিউলী বেগম বলেন, মাটির তৈরি জিনিসপত্রে রান্না করা খাবার সুস্বাদু হয়। পাশাপাশি স্বল্প মূল্যে পারিবারিক কাজে মাটির তৈরি জিনিসপত্র পাওয়া যায়। এছাড়াও রান্না করা খাবার দীর্ঘ সময় ভালো থাকে। সিসার তৈরি পাতিলে রান্না করলে ভাত বা তরকারি পুড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকলেও মাটির তৈরি পাতিলে সেই ঝুঁকি কম।

হারিয়াকান্দি গ্রামের কুমার ভক্ত পাল বলেন, বর্তমানে মাটির তৈরি হাড়ি-পাতিলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তৈরির উপকরণ কেনা ব্যয় সাপেক্ষ। এক সময় এসকল উপকরণের মাটি বিভিন্ন বিল থেকে বিনামূল্যে সংগ্রহ করা হতো। বর্তমানে সেই মাটি কিনতে হচ্ছে।

এছাড়াও অন্যান্য উপকরণের দাম বেড়েছে। তাই অনেক সময় মনে হয় বাপ-দাদার পেশা পরিবর্তন করি। তিনি আরও বলেন, আধুনিক যুগেও মাটির তৈরি হাড়ি-পাতিলের ব্যাপক কদর রয়েছে।

পোস্ট লিংক : https://karatoa.com.bd/article/151137