শান্তিরক্ষা মিশনে দক্ষিণ সুদানের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন নৌবাহিনীর ৭১ সদস্য

শান্তিরক্ষা মিশনে দক্ষিণ সুদানের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন নৌবাহিনীর ৭১ সদস্য

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন ‘ইউনাইটেড নেশনস মিশন ইন সাউথ সুদান (আনমিস)’–এ দায়িত্ব পালনের জন্য বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ৭১ জন সদস্যের একটি কন্টিনজেন্ট আজ ঢাকা ত্যাগ করেছে।

সোমবার বিকেলে এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)।

এতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ ফোর্স মেরিন ইউনিট-১১’-এর অংশ হিসেবে দ্বিতীয় গ্রুপে যাত্রা করা এই নৌসদস্যরা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দক্ষিণ সুদানের উদ্দেশ্যে রওনা হন। তারা বর্তমানে মিশনে দায়িত্ব পালনরত ‘বাংলাদেশ ফোর্স মেরিন ইউনিট-১০’-এর প্রতিস্থাপক হিসেবে সেখানে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।

এর আগে, গত ৯ ডিসেম্বর প্রথম গ্রুপে ৯৯ জন নৌবাহিনীর সদস্য শান্তিরক্ষা মিশনে যোগ দেন।

জাতিসংঘের নির্দেশনা অনুযায়ী বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ফোর্স মেরিন ইউনিট দক্ষিণ সুদানে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে আসছে। দেশটির প্রত্যন্ত এলাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জ্বালানি, খাদ্যসামগ্রী, ওষুধ ও মানবিক সহায়তা বহনকারী বার্জসমূহের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করা, নৌপথে জলদস্যুতা পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ এবং অগ্নিনির্বাপণে স্থানীয় জনগণকে সহায়তা প্রদান তাদের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব।

এছাড়াও বার্জে কর্মরত বেসামরিক নাবিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজে উদ্ধার তৎপরতা পরিচালনা এবং শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত সেনা ও বেসামরিক সদস্যদের জন্য দুর্গম এলাকায় প্রয়োজনীয় রসদ পরিবহণে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে নৌবাহিনীর এই ইউনিট।

উল্লেখ্য, বিশ্বের বিভিন্ন যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় গত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্যরা অত্যন্ত আন্তরিকতা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। একই সঙ্গে আহত সামরিক ও বেসামরিক ব্যক্তিদের উদ্ধার, জরুরি চিকিৎসা সেবা প্রদান এবং ডুবুরি সহায়তা কার্যক্রমেও নৌবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।

দক্ষিণ সুদানের পাশাপাশি লেবাননের ভূমধ্যসাগরে উপমহাদেশের একমাত্র মেরিটাইম টাস্কফোর্স সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ বানৌজা সংগ্রাম বর্তমানে নিয়োজিত রয়েছে। নীল নদের দীর্ঘ ১ হাজার ৩১১ কিলোমিটার নৌপথ অতিক্রম করে এ পর্যন্ত ৭১টি লজিস্টিক অপারেশন (অপারেশন লাইফ লাইন) সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে।

পোস্ট লিংক : https://karatoa.com.bd/article/151116