শীত বাড়ায় বগুড়ার শেরপুরে পুরাতন কাপড়ের দোকানে ভিড়

শীত বাড়ায় বগুড়ার শেরপুরে পুরাতন কাপড়ের দোকানে ভিড়

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি : শেরপুরে শীতের তীব্রতা বাড়ায় সাধারণ মানুষ গরম কাপড়ের জন্য ভিড় জমাচ্ছেন ভ্রাম্যমাণ দোকান ও পুরাতন কাপড়ের দোকানে। প্রতিদিন বিকেল থেকে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডের ফুটপাত এবং প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবার শেরপুর বারোদুয়ারী হাটে ভ্রাম্যমাণ শীতের কাপড়ের দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।

আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সরেজমিনে শেরপুর বারদুয়ারী হাটে গিয়ে দেখা যায়, ভ্রাম্যমাণ ও পুরাতন শীতের কাপড়ের দোকানে শীতবস্ত্র কিনতে দূর-দূরান্ত থেকে নারী-পুরুষসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন। স্থানীয় বিক্রেতা রবিউল ইসলাম বলেন, আমরা পুরাতন জ্যাকেট, সোয়েটার, মাফলার ও মোজা বিক্রি করি।

ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতা লুৎফর জানান, এখানে ক্রেতাদের সামথের্র মধ্যে বিভিন্ন দামে শীতের কাপড় পাওয়া যায়। ২শ’ টাকা থেকে ৫শ’ টাকার মধ্যে জ্যাকেট, ১শ’ টাকা থেকে ২শ’ টাকার মধ্যে সোয়েটার বিক্রি করে থাকি।

স্থানীয় বারোদুয়ারী হাট থেকে একটি পুরাতন সোয়েটার ও হাত মোজা কিনেছেন অটোভ্যান চালক নায়েব আলী। তিনি বলেন, ‘সকালে ভ্যান নিয়্যা বারালে শীতে কাহিল হয়া যাই। মনে করছিল্যাম কম ট্যাহার মোদ্যে একটো জ্যাকেট কিনমু, কিন্তু তা আর ওইলো না, একটা জাম্পার আর মোজা কিনল্যাম। এবার দেহি শীতে পুরান কাপড়ের দামও বেশি।’

বারোদুয়ারী হাটে নিম্ন আয়ের মানুষ কাপড় কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন। অনেক কম দামে এখানে শীতের কাপড় বেচাকেনা হওয়ায় ক্রেতারা ছুটে আসেন বিভিন্ন এলাকা ও গ্রাম থেকে। গত ৪৮ ঘণ্টায় শেরপুরে শীতের তীব্রতা বাড়ার পাশাপাশি সূর্যের দেখা মেলেনি।

ফলে নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়া দুর্ভোগের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। শেরপুর উপজেলার ছিন্নমূল মানুষগুলো এক টুকরো গরম কাপড়ের জন্য তাকিয়ে সমাজের বিত্তবানদের দিকে। তবে সরকারি-বেসরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু না হওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষ কাপড় কিনতে ছুটছেন পুরাতন কাপড়ের দোকানে।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী আব্দুল জব্বার বলেন, এবার শেরপুরে ২২৫০ পিস কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে, যা দু’একদিনের মধ্যেই বিতরণ শুরু হবে।

পোস্ট লিংক : https://karatoa.com.bd/article/151111