বগুড়ার নন্দীগ্রামে কমেছে সরিষার চাষাবাদ, অসময়ে বৃষ্টি

বগুড়ার নন্দীগ্রামে কমেছে সরিষার চাষাবাদ, অসময়ে বৃষ্টি

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : চলতি মৌসুমে বগুড়ার নন্দীগ্রামে সরিষা চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। মৌসুমের শুরুতেই অসময়ের বৃষ্টি কারণে এবছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে নন্দীগ্রামে সাড়ে ৭ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও আবাদ হয়েছে মাত্র ৪ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে।

ফলে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ২ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ কম হয়েছে। গত বছর উপজেলায় ৭ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এর বিপরীতে ৫ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয় এবং বাকি জমিতে আলু চাষ করা হয়েছিল। তবে এ বছর অসময়ের বৃষ্টির কারণে সঠিক সময়ে সরিষার বীজ বপণ করা সম্ভব না হওয়ায় অনেক কৃষক আলু চাষের দিকে ঝুঁকেছেন।

নন্দীগ্রাম সদর ইউনিয়নের দলগাছা গ্রামের আদর্শ কৃষক ও নন্দীগ্রাম সদর ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম কামাল বলেন, এবছর অসময়ের বৃষ্টির কারণে আমাদের বেশিরভাগ জমি সরিষা চাষের উপযোগী ছিল না। তাই সব জমিতে সরিষা চাষ করা সম্ভব হয়নি। গত বছর ৩০ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করলেও এবার মাত্র ৫ বিঘা জমিতে বীজ বপণ করেছি। প্রতি বিঘা জমিতে পত্তনিসহ খরচ হয় প্রায় ১০ থেকে ১১ হাজার টাকা। ফলন ভালো হলে প্রতি বিঘায় ৮ থেকে ৯ মণ সরিষা পাওয়া যায়।

নন্দীগ্রাম পৌর এলাকার দক্ষিণপাড়ার কৃষক মনসুর হোসেন বলেন, আমাদের জমি উঁচু হওয়ায় সঠিক সময়ে সরিষা চাষ করতে পেরেছি। তবে যাদের জমি নিচু, বৃষ্টির কারণে তারা এবার সরিষা চাষ করতে পারেননি।  উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গাজীউল হক বলেন, অসময়ের বৃষ্টির কারণে এবছর সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি।

বৃষ্টির কারণে বেশিরভাগ জমি সরিষা চাষের উপযোগী ছিল না। এজন্য এবছর সরিষা চাষ কম হয়েছে। উপজেলায় সরিষার চাষাবাদ বাড়াতে কৃষি বিভাগ সচেষ্ট রয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ভালো ফলনের জন্য নিয়মিত কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

এছাড়া সরকারি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় উপজেলায় ৬ হাজার ৩৮০ জন কৃষককে ১ কেজি করে সরিষা বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার এবং ১০ কেজি এমওপি সার বিতরণ করা হয়েছে।

পোস্ট লিংক : https://karatoa.com.bd/article/150966