দৈনিক করতোয়ায় সংবাদ প্রকাশের পর সন্ধান মিলেছে বগুড়ার নিখোঁজ স্কুলছাত্র সীমান্তের

দৈনিক করতোয়ায় সংবাদ প্রকাশের পর সন্ধান মিলেছে বগুড়ার নিখোঁজ স্কুলছাত্র সীমান্তের

স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়া পৌর সভার ২১নং ওয়ার্ডের শ্যামবাড়িয়া পশ্চিমপাড়া এলাকার নিখোঁজ ১৪ বছর বয়সী স্কুলছাত্র মো. সীমান্ত ইসলামের সন্ধান মিলেছে। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে বগুড়ার ধুনট উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়নের ডারাকাটা গ্রামের কৃষক মাহবুবর রহমানের বাড়ি থেকে সীমান্তকে তার মায়ের হেফাজতে দেওয়া হয়। ‘দৈনিক করতোয়া’ সংবাদ প্রকাশের পর মাহবুবর রহমানসহ ওই এলাকার ফেরদৌস নামের এক যুবক তাকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেন।

জানা গেছে, বগুড়া পৌরসভার ২১নং ওয়ার্ডের শ্যামবাড়িয়া পশ্চিমপাড়া এলাকার ১৪ বছর বয়সী স্কুলছাত্র মো. সীমান্ত ইসলাম গত ১৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিখোঁজের পর তার সাথে থাকা বাইসাইকেল নিয়ে ঘুরতে ঘুরতে ধুনট উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়নের কান্তনগর বাজার এলাকায় যায়। সেখানে এক মসজিদে নামাজের পর সে ওই মসজিদে বসে কান্নাকাটি করলে তা দেখে, ওই মসজিদের মুসল্লি কৃষক মাহবুবর রহমান তাকে বাড়িতে নিয়ে যান।

এরই মধ্যে আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) সীমান্তের নিখোঁজ হওয়ার খবরটি ‘দৈনিক করতোয়া’য় ছবিসহ প্রকাশ হলে তা নজরে পড়ে সীমান্তকে আশ্রয় দেওয়া মাহবুবর রহমানের। পরে স্থানীয় যুবক ফেরদৌস নিখোঁজ সীমান্তকে তার পরিবারের কাছে ফেরত দেওয়ার উদ্যোগ নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিলে, দৈনিক করতোয়ার মাধ্যমে সীমান্তের পরিবারের সাথে তাদের যোগাযোগ করে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে সীমান্তের মাসহ পরিবারের সদস্যরা গিয়ে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন।

সীমান্তকে ফিরিয়ে দেওয়া মাহবুবর রহমান বলেন, ছেলেটিকে মসজিদে কান্নাকাটি করতে দেখে বাড়িতে নিয়ে আসি। পরে দৈনিক করতোয়ায় প্রকাশিত খবর দেখতে বুঝতে পারি ছেলেটি নিখোঁজ হয়েছে। পরে পরিবারের সাথে যোগাযোগের ব্যবস্থা করে তাকে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিতে পেরে খুব ভালো লাগছে।

উল্লেখ্য, গত ১৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সীমান্ত ৪০০ টাকা নিয়ে বিদ্যুতের মিটার রিচার্জ করতে বাড়ি থেকে বের হয়। রিচার্জ করতে গিয়ে টাকাটি হারিয়ে ভয়ে সে আর বাড়ি না ফিরে নিখোঁজ হয়।

বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা আত্মীয়-স্বজনসহ সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তাকে না পেয়ে বগুড়া সদর থানায় গত শুক্রবার রাতে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরে তার নিখোঁজের বিষয়টি নিয়ে দৈনিক করতোয়ায় সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ হলে সে তার পরিবারকে ফিরে পায়।

পোস্ট লিংক : https://karatoa.com.bd/article/150962