দুই ম্যাচ হাতে রেখেই অ্যাশেজ জিতল অস্ট্রেলিয়া
স্পোর্টস ডেস্ক : পার্থ ও ব্রিসবেনে নাকানিচুবানি অজিদের কাছে ধরাশায়ির পর অ্যাডিলেডেও সুবিধা করতে পারল না বেন স্টোকসের ইংল্যান্ড। ফলে মেলবোর্ন ও সিডনি টেস্ট হাতে রেখেই সিরিজ ঘরে তুলল প্যাট কামিন্সের দল। ইংল্যান্ডের এখন লক্ষ্য হোয়াইটওয়াশ এড়ানো।
তৃতীয় এই টেস্টে প্রথমে ব্যাটিং করে অ্যালেক্স ক্যারির শতকে ৩৭১ রানে প্রথম ইনিংসে শেষ হয় অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৮৬ রানের বেশি করতে পারেনি ইংল্যান্ড। অন্যদিকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া ট্রাভিস হেডের দুর্দান্ত ১৭০ রানের ইনিংসের ওপর ভর করে ৩৪৯ রান করলে ইংলিশদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪৩৫ রান। বিশাল এই লক্ষ্য তাড়াই ভালোই ব্যাটিং করে বেন স্টোকসের দল। তবে ৩৫২ রানে অলআউট হলে ৮২ রানে হার দেখেন তারা। আগের দুই টেস্টের চেয়ে অ্যাডিলেডে কিছুটা লড়াই করে ইংল্যান্ড। পার্থ টেস্ট তো শেষ হয় মাত্র ২ দিনে। এরপর ব্রিসবেনে খেলা হয় চতুর্থ দিন পর্যন্ত। আর অ্যাডিলেডে খেলা গড়ায় পঞ্চম দিন পর্যন্ত। এই নিয়ে টানা পাঁচ সিরিজ ধরে অ্যাশেজ ধরে রাখল অস্ট্রেলিয়া। এর মধ্যে তিনটি তারা জিতেছে, দুটি হয়েছে ড্র। ইংল্যান্ড সবশেষ অ্যাশেজ জিতেছে ঘরের মাঠে ২০১৫ সালে।
জয়ের সুবাস নিয়েই অ্যাডিলেডে চতুর্থ দিন শেষ করেছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে পঞ্চম দিনে দারুণ লড়াই করেন ইংল্যান্ডের শেষ দিকের ব্যাটাররা। ৬ উইকেটে ২০৭ রান নিয়ে রোববার (২১ ডিসেম্বর) দিন শুরু করে ইংল্যান্ড। দলটি সপ্তম উইকেট হারায় ২৮৫ রানে। ৯১ রানের জুটি গড়ে ফেরেন জেমি স্মিথ। ৮৩ বলে ৬০ রান করে আউট হন তিনি। দলীয় ৩৩৭ রানে অষ্টম উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। ৪৭ রান করে ফেরেন উইল জ্যাকস। তবে এরপর আর লড়াই করতে পারেননি তারা। ৩৫২ রানেই হয় অলআউট। ৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন ব্রাইডন কার্স। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক, স্কট বোল্যান্ড ও জশ হ্যাজলউড।
ম্যাচসেরার লড়াইয়ে ট্রাভিস হেডকে হারিয়ে সেরা হন অ্যালেক্স ক্যারি। চোট কাটিয়ে ফিরে ৬ উইকেট নেয়া কামিন্স আর অলরাউন্ডারের ভূমিকা পালন করা স্টার্কও ছিলেন দাবিদার। ঐতিহ্যবাহী বক্সিং ডে টেস্ট মেলবোর্নে শুরু আগামী শুক্রবার।
পোস্ট লিংক : https://karatoa.com.bd/article/150939