দাফন শেষে হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে উত্তাল শাহবাগ
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পরিচিত মুখ শরিফ ওসমান হাদির দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) জানাজা শেষে বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিসৌধের পাশে তাকে দাফন করা হয়। দাফন সম্পন্ন হওয়ার পরপরই রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী অবস্থান নিয়েছেন। তারা হাদি হত্যার বিচার দাবিতে উত্তাল স্লোগানে রাজপথ কাঁপিয়ে তুলছেন।
শাহবাগ মোড়ে ইনকিলাব মঞ্চের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের উপচেপড়া ভিড়। বিক্ষোভকারীরা ‘হাদি ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’, ‘আজাদি না দালালি, আজাদি আজাদি’ এবং ‘হাদি, হাদি’ বলে স্লোগান দিচ্ছেন। এ সময় মাইকে ঘোষণা দিয়ে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সবাইকে বসে পড়ার অনুরোধ জানানো হয়। ইনকিলাব মঞ্চের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শহীদ ওসমান হাদির পরিবারের সদস্যরা শাহবাগে সমবেত জনতার উদ্দেশে কথা বলবেন।
সমাবেশ থেকে ইনকিলাব মঞ্চের বক্তারা হাদি হত্যার তদন্ত ও রাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, হাদিকে গুলি করার ১৭২ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও রাষ্ট্র এখনও ঘাতকদের শনাক্ত করতে পারেনি। তারা দাবি করেন, এটি কোনো ব্যক্তিগত শত্রুতা নয় বরং একটি সুপরিকল্পিত রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড।
বক্তারা স্পষ্ট করে বলেন, বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দলকে আমরা সন্দেহ করি না। তবে, কাউকে সন্দেহের বাইরে রাখা যাবে না। রাষ্ট্র কি এখনও বলেছে, কে বা কারা হত্যা করেছে? রাষ্ট্র ওসমান হাদির নিরাপত্তা নিশ্চিত করেনি।
এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শাহবাগ ও এর আশপাশের এলাকায় নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশ, সোয়াত , ডিবি, র্যাব ও বিজিবির সদস্য সেখানে মোতায়েন রয়েছে। দাফনের আগে থেকেই মাজার ও মসজিদ এলাকায় কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়। যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।