সিরিয়ায় বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

সিরিয়ায় বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সিরিয়ায় মোতায়েন মার্কিন বাহিনীর ওপর প্রাণঘাতী হামলার প্রতিক্রিয়ায় সেখানে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) একাধিক ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ অভিযানে জ্ঞাত আইএস অবকাঠামো ও অস্ত্রভাণ্ডার লক্ষ্য করে শতাধিক গোলা ব্যবহার করা হয়।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ১৩ ডিসেম্বর পালমিরায় আইএস’র হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও এক মার্কিন অনুবাদক নিহত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র আইএস ঘাঁটিতে কঠোর আঘাত হানছে।

মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানায়, যুদ্ধবিমান, ‘হকআই স্ট্রাইক’ নামে অভিযানটি শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) পূর্বাঞ্চলীয় সময় বিকেল ৪টায় শুরু হয়। হেলিকপ্টার এবং কামান থেকে গুলি ছুড়ে সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ৭০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে। এতে জর্ডানের বিমানও অংশ নিয়েছে। সেন্টকমের কমান্ডার অ্যাডমিরাল ব্র্যাড কুপার বলেন, আমেরিকান বা তাদের অংশীদারদের ক্ষতি করতে চায় যারা, তাদের বিরুদ্ধে নিরলস অভিযান চলবে। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ বলেন, এটি যুদ্ধের শুরু নয়, বরং প্রতিশোধের ঘোষণা। মার্কিনিদের আক্রমণ করলে বিশ্বের যেকোনও জায়গায় যুক্তরাষ্ট্র তাকে খুঁজে বের করে মেরে ফেলবে। 
ট্রুথ সোশালে ট্রাম্প বলেন, হত্যাকারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ আমরা কঠোরভাবে কার্যকর করছি। সিরিয়ার সরকারের এতে পুরো সমর্থন রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।

এদিকে, যুক্তরাজ্যভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানায়, রাক্কা ও দেইর ইজোরের নিকটস্থ আইএস ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়, যেখানে আইএসের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা সহ কয়েকজন নিহত হয়েছে। আইএস এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলেনি এবং বিবিসি তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল যাচাই করতে পারেনি।

এর আগে সেন্টকম বলেছিল, পালমিরার প্রাণঘাতী হামলাটি একজন আইএস বন্দুকধারী চালায়, যাকে পরে হত্যা করা হয়েছে। ওই ঘটনায় আরও তিন মার্কিন সেনা আহত হয়। এক পেন্টাগন কর্মকর্তা বলেন, ওই ঘটনা সিরিয়ার যেখানে ঘটেছে, দামেস্কের সেখানে নিয়ন্ত্রণ নেই। সূত্র : বিবিসি

পোস্ট লিংক : https://karatoa.com.bd/article/150791