ছাত্রলীগের নেতাকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধের ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ ও উসকানিমূলক মন্তব্য করার অভিযোগে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের এক নেতাকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযুক্ত ওই নেতার নাম আরাফাত হোসেন সোহাগ। তিনি চিলমারী উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও রমনা সরকার বাড়ি এলাকার মো. সুজা মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাদিকে গুলিবিদ্ধের ঘটনার পরদিন ১৩ ও ১৫ ডিসেম্বর আরাফাত হোসেন সোহাগ নিজের ফেসবুক আইডি থেকে দুটি মন্তব্য করেন, যা অনেকেই কুরুচিপূর্ণ ও উসকানিমূলক বলে অভিযোগ তোলেন। স্ট্যাটাস দুটি দ্রুত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এ ঘটনার পর বৃহস্পতিবার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুড়িগ্রাম জেলা যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুর রহমান পারভেজ প্রকাশ্যে সোহাগকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করেন। তিনি তার ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা জানান।
এ বিষয়ে আব্দুর রহমান পারভেজ বলেন, একজন রাজনৈতিক কর্মীর ওপর হামলার মতো স্পর্শকাতর ঘটনার পর কেউ যদি কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে উসকানি দেয়, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সমাজে ভুল বার্তা ঠেকাতে এবং আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আমরা তাকে ধরিয়ে দিতে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আরাফাত হোসেন সোহাগের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত ফেসবুক আইডিতে দেওয়া স্ট্যাটাসটি এখনো দৃশ্যমান রয়েছে।
চিলমারী থানার ওসি আলমগীর হোসেন বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া মন্তব্য ও সার্বিক পরিস্থিতি পুলিশ নজরদারিতে রেখেছে। কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পোস্ট লিংক : https://karatoa.com.bd/article/150741