গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ শেষ, বন্ধ হয়নি গণহত্যা

গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ শেষ, বন্ধ হয়নি গণহত্যা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গাজায় যুদ্ধবিরতির দুই মাস হতে চললেও বাস্তবে ফিলিস্তিনিদের হত্যা বন্ধ করেনি ইসরায়েলি বাহিনী। এরই মধ্যে প্রথম ধাপের ছয় সপ্তাহ বা ৪২ দিন শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা এগোচ্ছে না। ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে নিয়মিত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। সেইসঙ্গে উপত্যকায় ত্রাণ প্রবেশে বাধা দিচ্ছে। বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা তাঁবুতে চরম দুর্ভোগে দিনযাপন করছেন। শীতের তীব্রতা তাদের জীবন আরও দুর্বিষহ করছে।

যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গত বুধবার রাতে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় গাজায় সাত ফিলিস্তিনি নিহত হন। তাদের মধ্যে দুই শিশুও রয়েছে। গাজার কথিত ‘নিরাপদ অঞ্চল’ খান ইউনিসের আল মাওয়াসিতে এ হামলা হয়। এ অবস্থায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বলেছেন, তারা গাজায় বলপ্রয়োগ চালিয়ে যাবেন। 

আনাদোলুর খবরে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘শিগগিরই দ্বিতীয় ধাপের যুদ্ধবিরতি’ শুরুর বিষয়ে আশা প্রকাশ করেছেন। গত বুধবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি ওই হামলার বিষয়ে বলেন, ‘বোমা হামলায় তারা (ফিলিস্তিনিরা) সমস্যায় পড়েছেন। কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন, কয়েকজন মারাও গেছেন।’ দ্বিতীয় ধাপে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির কথা বলা হয়েছে। 

আলজাজিরা জানায়, গতকাল পূর্ব রাফায় হামাসের প্রতিরোধের খবর পাওয়া গেছে। এতে ইসরায়েলের অন্তত পাঁচ সেনা সদস্য আহত হন।
গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরুর পর ৩৬৬ জনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। আহত ৯৩৮ জন। দুই বছর ধরে চালানো ইসরায়েলের গণহত্যায় ৭০ হাজার ১২৫ ফিলিস্তিনি নিহত ও এক লাখ ৭১ হাজার ১৫ জন আহত হন। হাজার হাজার মরদেহ এখনও ভবনের নিচে চাপা পড়ে আছে। গতকাল ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে আরও দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।  

 

পোস্ট লিংক : https://karatoa.com.bd/article/149145