দেশীয় চিনি শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমদানি নয়: শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান
দেশীয় বিভিন্ন চিনিকলে উৎপাদিত চিনি গুদামে মজুত রয়েছে। তাই যতক্ষণ পর্যন্ত দেশীয় চিনি শেষ না হবে, ততক্ষণ আমরা বাইরে থেকে কোনো চিনি আমদানি করব না। এর ফলে বাজারে দেশি চিনি সহজলভ্য হচ্ছে, দেশীয় শিল্প টিকে থাকবে এবং কৃষকরাও উপকৃত হবেন। এমন মন্তব্য করেছেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
দেশের সবচেয়ে বড় চিনিকল চিনিকল চুয়াডাঙ্গার কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ২০২৫–২৬ মাড়াই মৌসুম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) দোয়া মাহফিলের পর বিকেল ৫টায় চিনিকলের কেইন ক্যারিয়ারের ডোঙায় আখ নিক্ষেপের মধ্য দিয়ে মাড়াই কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রশিদুল হাসানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি রেজাউল হক, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন, চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসানসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকার বেশ কিছু চিনিকল বন্ধ করে দিয়েছিল। আমরা সেই সব চিনিকল চালু করার উদ্যোগ নিয়েছি এবং তা চালুও করছি। তবে শুধু সরকারি ভর্তুকি দিয়ে মিলগুলো চালিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। এখানে বড় ধরনের বিনিয়োগ প্রয়োজন, আমরা সেই বিনিয়োগ আনার প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছি। বিনিয়োগ পেলেই সব মিল পুনরায় চালু করা সম্ভব হবে এবং চিনি শিল্প আবার লাভের মুখ দেখবে।
তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার গত ১৫ বছরে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি খুব খারাপ করে রেখেছিল। সেখান থেকে উত্তরণে সময় লাগবে। ইতোমধ্যে অনেক সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে শিল্প মন্ত্রণালয় ও বিডা যৌথভাবে কাজ করছে। খুব শিগগিরই দেশীয় ও বিদেশি উদ্যোক্তাদের নিয়ে নতুন শিল্প স্থাপন করা সম্ভব হবে। আমরা হয়ত তখন থাকব না, তবে এর ইতিবাচক ফলাফল জনগণ দেখতে পাবে।
চিনিকল কর্তৃপক্ষ জানায়, আখের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় আখ চাষের প্রতি কৃষকদের আগ্রহ আবারও বাড়ছে। আখ চাষ বৃদ্ধির লক্ষ্যে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর আখ চাষের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ২০২৫–২৬ মাড়াই মৌসুমে ৭৬ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ৫ দশমিক ৬০ রিকভারি হারে ৪ হাজার ২৫৬ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।