বাউল আবুল সরকারের মুক্তির দাবিতে খুলনায় মানববন্ধনে হামলা
বাউল আবুল সরকারের মুক্তির দাবি এবং দেশজুড়ে মাজার–দরগাহে হামলা-ভাঙচুরের প্রতিবাদে খুলনায় গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের আয়োজিত মানববন্ধনে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় সংগঠনের কয়েকজন কর্মী আহত হন। হামলাকারীরা মানববন্ধনের ব্যানার ছিঁড়ে পুড়িয়ে দেয়।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে নগরের শিববাড়ী মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের নেতা–কর্মীরা জানান, বাউলশিল্পীদের ওপর হামলা, মাজার–খানকা ভাঙচুর এবং ধর্মীয় ভিন্নমতের মানুষের ওপর সহিংসতার বিরুদ্ধে সারাদেশে কর্মসূচি চলছে। তার অংশ হিসেবেই খুলনায় মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়েছিল। এ সময় একই স্থানে ‘ধর্ম অবমাননার’ অভিযোগ তুলে ‘ছাত্র–জনতা’ ব্যানারে পাল্টা বিক্ষোভের ঘোষণা দেওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য অনুযায়ী, সাড়ে তিনটার দিকে ছাত্রজোট মানববন্ধনের প্রস্তুতি নিলেও একই সময়ে অপর দলটি সেখানে আসে। বিকেল পাঁচটার দিকে ছাত্রজোটের কর্মীরা ব্যানার হাতে সড়কে নামতেই তাঁদের ওপর হামলা শুরু হয়। কিল–ঘুষি ও লাঠির আঘাতে কয়েকজন আহত হন এবং ব্যানার ছিনিয়ে নিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
ছাত্র ইউনিয়নের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সজীব খান অভিযোগ করে বলেন, ‘বেলা তিনটার দিকে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান নিই। পুলিশ থাকলেও পাঁচটার দিকে পরিকল্পিতভাবে আমাদের ওপর হামলা করা হয়। “ছাত্র–জনতা”র নামে যারা এসেছিল, তারা আসলে আপ বাংলাদেশ ও শিবিরের কর্মী।’
অপরদিকে আপ বাংলাদেশের খুলনা মহানগর শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়জুল্লাহ শাকিল বলেন, ‘ওরা আগে আমাদের এক কর্মীকে মারধর করে। পরে আমরা একত্র হয়ে তাদের দিকে এগোই।’
খুলনা মহানগর পুলিশের সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ওসি কবির হোসেন জানান, বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের মানববন্ধনে ‘ছাত্র ও সাধারণ জনতা’ হামলা চালায়। কয়েকজন আহত হলেও কেউ গুরুতর নয়। পুলিশ দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ব্যানার পুড়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। উত্তেজনা এড়াতে আগেই পুলিশ মোতায়েন ছিল এবং সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
পোস্ট লিংক : https://karatoa.com.bd/article/148050