পৃথক ৩ মামলায় রাজউক সদস্য খুরশিদের ১ বছরের কারাদণ্ড

পৃথক ৩ মামলায় রাজউক সদস্য খুরশিদের ১ বছরের কারাদণ্ড

কারাগারে থাকা পৃথক তিন মামলায় একমাত্র আসামি রাজউকের সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশিদ আলমকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার পাঁচ নম্বর বিশেষ জজ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালত এ রায় দেন।সকালে খুরশিদকে আদালতে হাজির করা হয়।

ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক তিন মামলায় ২১ বছর কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

এর আগে গত ২৩ নভেম্বর এসব মামলায় রায় ঘোষণার জন্য ২৭ নভেম্বর দিন ধার্য করে আদালত। তবে শেখ হাসিনাসহ ২২ আসামি পলাতক থাকায় তাদের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন হয়নি। একইসঙ্গে আত্মপক্ষ শুনানিতে নিজেদের নির্দোষও দাবি করতে পারেননি তারা।

এ বিষয়ে দুদকের কৌঁসুলি খান মাইনুল হাসান (লিপন) বলেন, মেয়ে পুতুলের আবদার মেটাতে রাজউকের প্লট বরাদ্দ নিতে গিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করেন শেখ হাসিনা। আমরা দলিল-দস্তাবেজ ও সাক্ষীদের সাক্ষ্যে তাদের দুর্নীতির প্রমাণ করতে পেরেছি। আশা করছি শেখ হাসিনাসহ ২৩ আসামির সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন হবে।

তবে তিন মামলায় কারাগারে থাকা একমাত্র আসামি রাজউক কর্মকর্তা খুরশিদ আলমের আইনজীবী মো. শাহিনুর ইসলাম বলেন, এসব প্লট বরাদ্দে ওই সময় খুরশিদ আলমের কিছুই করার ছিল না। তিনি এসব কাজের জন্য কোনো পদোন্নতি বা বেনিফিট নেননি বা কোনো ধরনের সুযোগ-সুবিধাও গ্রহণ করেননি। তাই এসব মামলায় তিনি কোনোভাবেই অভিযুক্ত নন। আশা করছি ন্যায়বিচার পেলে খালাস পাবেন তিনি।

আদালত সূত্রে জানা যায়, প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে পৃথক ছয়টি মামলা করে দুদক। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ (পুতুল), বোন শেখ রেহানা, রেহানার মেয়ে টিউলিপ রিজওয়ান সিদ্দিক, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও অপর মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকসহ আরো অনেককে আসামি করা হয়।

শেখ পরিবার ছাড়া ছয় মামলায় অন্য আসামিরা হলেন—জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) কবির আল আসাদ, সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাস, সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) নুরুল ইসলাম, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সাবেক মেজর (ইঞ্জিনিয়ার) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-২) শেখ শাহিনুল ইসলাম, উপপরিচালক হাফিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন।

পোস্ট লিংক : https://karatoa.com.bd/article/148019