এক যুগ ধরে শিকলে বাঁধা হাসনা বেগমের জীবন

এক যুগ ধরে শিকলে বাঁধা হাসনা বেগমের জীবন

তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি: প্রায় এক যুগ ধরে শিকলে বাঁধা জীবন কাটাচ্ছেন মানসিক ভারসাম্যহীন ষাটোর্ধ্ব হাসনা বেগম। স্বামী মারা যাওয়ার পর ঢাকায় গিয়ে বাসা-বাড়িতে কাজ করার সময় অসুস্থ হয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন তিনি। বর্তমানে মেয়ে-জামাইয়ের বাড়িতে শিকল বাঁধা জীবন কাটাচ্ছেন হাসনা বেগম।

জানা যায়, তারাগঞ্জ উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের পাইকারপাড়া গ্রামের মৃত আবেদ আলীর স্ত্রী হাসনা বেগম। জন্মের পর সুস্থ ছিলেন তিনি।  দীর্ঘ ৩০ বছর করেছেন স্বামীর সংসার। একমাত্র মেয়ে আবেয়া খাতুনকে বিয়ে দিয়েছেন পাশের গ্রামেই। প্রায় এক যুগ আগে স্বামী মারা যাওয়ার পর দিশেহারা হয়ে পড়েন তিনি।

পরে ঢাকা গিয়ে বাসা-বাড়িতে কাজ শুরু করেন। এরইমধ্যে হঠাৎ অসুস্থ পড়লে মেয়ে-জামাই তাকে বাড়ি নিয়ে আসেন। একদিন বিকেলে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হলে ৪-৫দিন পর নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। এরপর থেকেই পায়ে শিকল দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে তাকে। 

মেয়ে আবেয়া খাতুন বলেন, বিয়ে দেওয়ার পরপরই বাবা মারা যান। তার রেখে যাওয়া বসতভিটার দুইশতক জমি বিক্রি করে ও আমার স্বামীর সংসারের হাজার হাজার টাকা খরচ করেও কোন লাভ হয়নি। মাকে সুস্থ করতে ডাক্তার মানসিক হাসপাতালে নিতে বলেছিলেন কিন্তু স্বামী সংসার ও আর্থিক সংকটে যেতে পারিনি। 

ইউপি সদস্য আব্দুর হামিদ বলেন, হাসনার বাড়ি ঘর নেই। মেয়ে-জামাতার বাড়িতে থাকে। তাকে বিধবা ভাতা দেয়া হচ্ছে।

পোস্ট লিংক : https://karatoa.com.bd/article/147452