বগুড়ার আদমদীঘির সালগ্রামে এক ব্যতিক্রমধর্মী নবান্ন উৎসব

বগুড়ার আদমদীঘির সালগ্রামে এক ব্যতিক্রমধর্মী নবান্ন উৎসব

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি : আদমদীঘি উপজেলার সালগ্রামে নাচ গান খেলাধুলাসহ উৎসবের মাঝে উদযাপান করা হয়েছে এক ব্যক্তিক্রমধর্মী নবান্ন উৎসব। জামাই মেয়ে আত্মীয় স্বজনের কোলাহলে মুখরিত ওই গ্রাম। সমগ্র গ্রাম জুড়ে বসেছে মেলা। ভীড় করছে শিশু কিশোরসহ সব বয়সের নারী পুরুষ। আজ রোববার (১৬ নভেম্বর) নবান্ন হলেও গতকাল শনিবার রাত থেকে ঘুম নেই গ্রামবাসির।

৯টি বড় আকারে মহিষ ও ১৫টি গরু জবাই করে মাংস কেনাবেচা হয়েছে সারা রাত ধরে। ভোর ৫টার আগেই বিক্রি শেষ হয়েছে ১১২ মণ গরু মহিষের মাংস। সালগ্রামের এই নবান্ন উৎসব চিরাচরিত নিয়মে যুগযুগ ধরে পালিত হয়ে আসছে।

আজ রোববার (১৬ নভেম্বর) ছিলো পহেলা অগ্রহায়ন নবান্ন উৎসব। উপজেলার কোন কোন গ্রামে ছোট আকারে নবান্ন উৎসব পালিত হয় আবার কোন গ্রামে পালন করা হয় না। কিন্তু ব্যতিক্রমী গ্রাম হলো উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নের সালগ্রাম। এই গ্রামে নবান্ন উৎসবকে ঘিরে সকাল থেকে তিন দিনব্যাপি পাড়ায় পাড়ায় শিশু কিশোর কিশোরীদের খেলাধুলার আয়োজন ও রাতে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের অয়োজন করা হয়।

নবান্ন উৎসবে শুধু সালগ্রাম নয় আশে পাশের গ্রামের মেয়ে জামাইসহ দুর দুরান্ত থেকে শতশত আত্মীয় স্বজনদের সমাগম ঘটে এই গ্রামে। ওই গ্রামের সমগ্র রাস্তার দুই ধারে ফাঁকা জায়গা দখল করে চুড়ি ফিতা, মিষ্টি, খেলনার দোকানসহ নানা পণ্যের মেলা বসে। নবান্নের পরদিন বসে বৌ মেলা। ওই গ্রামের অনেক লোক গ্রামে মাংস না পেয়ে আদমদীঘি সদরে আসেন মাংস কিনতে।

সালগ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি রইচ উদ্দিন ও রেজাউল হক বাচ্চু জানান, আত্মীয় স্বজনদের আপ্যায়নের জন্য মাংস, মিষ্টি. দই, পায়েস ও ফিরনিসহ নানা খাবার তৈরী করে পরিবেশন করা হয়। সালগ্রামের ৭৬ বছর বয়সের বৃদ্ধ হাজি আলতাফ আলী খা, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক গোলাম মোস্তফাসহ অনেকেই জানান, তাদের এই নবান্ন উৎসব প্রথা দুই‘শ বছরের অধিক কাল ধরে চলে আসছে।

পোস্ট লিংক : https://karatoa.com.bd/article/146785