গাজীপুরে গ্রামীণ ব্যাংক অফিসে ককটেল নিক্ষেপ
গাজীপুরের শ্রীপুরে গ্রামীণ ব্যাংকের মাওনা-শ্রীপুর শাখায় দুটি পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেছে দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে শ্রীপুর থানা ও মাওনা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
গতকাল শনিবার (১৫ নভেম্বর) দিবাগত রাত দুইটার দিকে বারতোপা গ্রামের ওই ব্যাংকের শাখায় এ ঘটনা ঘটে। গ্রামীণ ব্যাংকের শ্রীপুরের এরিয়া ম্যানেজার আব্দুর রাজ্জাক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রামীণ ব্যাংকের শ্রীপুরের এরিয়া ম্যানেজার আব্দুর রাজ্জাক জানান, ব্যাংকের কমকর্তা-কর্মচারীরা প্রায়ই ব্যাংকেই রাত যাপন করেন। এদিনও শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের বারতোপা বাজারের গ্রামীণ ব্যাংকের মাওনা-শ্রীপুর শাখায় দৈনন্দিন নিয়মিত কাজ শেষে তিনি ব্যাংকের ভেতরেই ঘুমিয়ে পড়েন।
এ সময় তার সাথে আরও চারজন কর্মকর্তা-কর্মচারী ছিলেন। মধ্যরাতে দুর্বৃত্তরা ব্যাংকের সীামানা প্রাচিরের ভেতরে এবং বাহিরে দুটি পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেলে বিস্ফোরিত হয়ে বিকট শব্দ হয়। ওই শব্দে তিনিসহ অপর চারজন কর্মকর্তা-কর্মচারী ঘুম ভেঙে যায়। আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তারা কার্যালয়ের ভেতর থেকে পেছনের গেট দিয়ে বাহিরে বের হন। তারা প্রধান ফটকে আগুন দেখতে পান। গ্রামীণ ব্যাংকের সীামানা প্রাচিরের ভেতরে ও বাহিরে কাঁচের টুকরো ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখা যায়। পেট্রোল বোমা নিক্ষেপের ঘটনায় বড় ধরেনের কোন দুর্ঘটনা না ঘটলেও ব্যাংকের সাইনবোর্ডটির কিছু অংশ পুড়ে যায়। ঘটনার পর আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আব্দুর রাজ্জাক জানান, দুর্বৃত্তরা সীমানা প্রাচিরের বাহিরে পেট্রোল বোমাসদৃশ কিছু একটা ফেলে রেখে গেছে। আমাদের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। রাত ১০টা বা ১১টা পর্যন্ত আমাদের অফিসে কাজ চলে। এরপর নিরাপত্তা প্রহরী ঘুমিয়ে পড়ে। আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। উনারা এখনো। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেনি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা ও সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। বর্তমানে ব্যাংকের কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকলেও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক রয়েছে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারীক জানান, গ্রামীণ ব্যাংকের বারাতোপা ব্রাঞ্চের গেটের বাহিরে কে বা কারা পটকা ফুটিয়ে থাকতে পারে। তাদের পক্ষ থেকে এখনো কোন অভিযোগ দায়ের করেনি। আমিসহ মাওনা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এঘটনায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও দাবি করেন, পুলিশের টহল জোরদার থাকায় দুর্বৃত্তরা বড় ধরনের কোনো নাশকতা ঘটাতে পারেনি। ঘটনাস্থল থেকে একটি বোতল উদ্ধার করা হয়েছে। কারা হামলা চালিয়েছে তা জানতে তদন্ত শুরু করে ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুতই আইনের আওতায় আনা হবে।
পোস্ট লিংক : https://karatoa.com.bd/article/146769