মুশফিকের প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান দেখাতে বললেন তামিম

মুশফিকের প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান দেখাতে বললেন তামিম

স্পোর্টস ডেস্ক : মুশফিকের শততম টেস্ট ম্যাচ ঘিরে আন্দোলিত তামিম। জাতীয় দলের সাবেক এ অধিনায়ক প্রিয় বন্ধুকে শুভকামনা জানালেন। মাইলফলকের টেস্ট ম্যাচটি উপভোগ করার পরামর্শও দিলেন তামিম ইকবাল খান।

এই ম্যাচে মুশফিকের কাছে তামিমের চাওয়া সামান্যই, ‘সে শূন্য করুক বা ২০০ করুক-আমি চাই ম্যাচটি সে উপভোগ করুক। ক্রিকেটার, সমর্থক, ক্রিকেট বোর্ড, সাংবাদিক সবার প্রতি অনুরোধ থাকবে বাংলাদেশের একজনের শততম টেস্ট ম্যাচ খেলার মুহূর্তটিকে উপভোগ করবেন। আমি অনুরোধ করব-সে এক করুক, ১০০ করুক বা শূন্য করুক-এই টেস্টে তাকে নিয়ে কেউ সমালোচনা করবেন না। আসুন এই একটি ম্যাচে আমরা তার প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান দেখাই।’ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বয়সভিত্তিক দল থেকে মুশফিক-তামিমের বন্ধন। উইকেটরক্ষক এ ব্যাটারের উত্তরণটা খুব কাছ থেকে দেখেছেন তামিম। সেই স্মৃতি রোমন্থন করলেন সঙ্গে, ‘একজন সাধারণ ব্যাটার থেকে পরিশ্রম দিয়ে সে বিশ্বমানে উন্নীত হয়েছে। পরিশ্রম দিয়ে যে অনেক কিছু অর্জন করা সম্ভব, তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ মুশফিক। নিয়মানুবর্তিতার প্রতিমূর্তি সে। তাকে আদর্শ মানতে পারে আগামীর ক্রিকেট প্রজন্ম।’ 

তামিম মনে করেন, পঞ্চপাণ্ডবের সেরা টেস্ট ক্রিকেটার মুশফিক, ‘আমাদের এ প্রজন্মের মধ্যে কেউ যদি সত্যিকারে ১০০ টেস্ট খেলার দাবি রাখে, সেটা মুশফিক। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ১০০তম টেস্ট খেলা বিশাল কিছু। কারণ মুশফিকের অনেক পরে অ্যালিস্টার কুক অভিষেক করে ১০০ টেস্ট খেলে অবসরেও চলে গেছেন। সেখানে ১০০ ম্যাচ খেলতে ২০ বছর লেগেছে তার। একটা সময় ছিল খুব কম টেস্ট ম্যাচ খেলেছি আমরা। এমনও হয়েছে দুই বছরে একটি সিরিজ খেলেছি। এই দেশে পরিশ্রম ছাড়া এই জায়গায় পৌঁছাতে পারত না সে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ভালো ক্রিকেটার হতে হলে নিজের খেলাটা বোঝা ও নিজের সক্ষমতা জানা জরুরি। মুশফিক যখন জাতীয় দলে আসে-প্রথম কয়েক বছর সে তেমন সফল ছিল না। সে ভালো করে নিজেকে বুঝেছে, সীমাবদ্ধতাগুলো উতরে সফল হয়েছে। বন্ধুকে সফল হতে দেখলে মানুষের মধ্যে আক্ষেপ থাকে। আমি দৃঢ়ভাবে বলতে চাই-মুশফিককে ১০০তম টেস্ট ম্যাচের প্রস্তুতি নিয়ে আমি বলতে পারছি-সঠিক মানুষ ১০০তম টেস্ট খেলছে। এ নিয়ে বিন্দুমাত্র আক্ষেপ নেই আমার।’ 

২০০৫ সালে লর্ডসে অভিষেক করা মুশফিকে শততম টেস্ট ম্যাচে পৌঁছাতে লেগেছে ২০ বছরের বেশি সময়। এ লম্বা ক্যারিয়ারে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সার্কিটে কতজনকেই তো বিদায় নিতে দেখেছেন তিনি। অনেক প্রতিভা হারিয়ে যাওয়ার ভিড় ঠেলে আজও সাজঘরে প্রদীপ জ্বেলে যাচ্ছেন মুশফিক। আপন আলোয় আলোকিত হয়ে ১৯ নভেম্বর মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে নিজের ১০০তম টেস্ট ম্যাচ খেলতে নামবেন আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। 

পোস্ট লিংক : https://karatoa.com.bd/article/146722