সুখের বারতা নিয়ে বাংলার ঘরে এলো অগ্রহায়ণ   

সুখের বারতা নিয়ে বাংলার ঘরে এলো অগ্রহায়ণ   

স্টাফ রিপোর্টার : দেশের কৃষাণ-কৃষাণীর কাছে সুখের বার্তা বয়ে এনেছে অগ্রহায়ণ মাস। মাঠের সোনালী ধানের দোলা দেখে যেভাবে কৃষাণ-কৃষাণীর আনন্দ দুলে ওঠার কথা সেভাবে এবার মন ভরছে না। ঠিক ধান কাটার আগে গত দুই সপ্তাহ আগে হঠাৎ করে ঘূর্ণিঝড় মোথার  প্রভাবে অনেক  এলাকায় বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের অনেক এলাকায় পাকা ও আধাপাকা ধান পানিতে পড়ে যায় এতে অনেক কৃষক ক্ষতির সম্মুখিন হন। এছাড়াও সার, কীটনাশক ও সেচের দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে তারা অনেক কষ্ট করে ধান রোপণ করেন। এই ধান কেটে নিজের খরচ, ধারের টাকা শোধ করবেন  না নিত্য প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাবেন, এই নিয়ে মহাশঙ্কায় আছে কৃষাণ-কৃষাণী। অনেক দুর্যোগ মোকাবেলা করেও আমাদের দেশের কৃষাণ-কৃষাণীর কাছে সুখের বার্তা বয়ে আনে অগ্রহায়ণ মাস। সময়ের প্রয়োজনেই কৃষাণ-কৃষাণীর দোড়গোড়ায় আজ নবান্ন। 

আজ পহেলা অগ্রহায়ণ। ইতোমধ্যে বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শুরু হয়েছে পাকাধান কাটার উৎসব। এমাসে দেশের দিগন্তজোড়া মাঠের কাঁচা-পাকা ধানের সাথে কৃষাণ-কৃষাণীর হৃদয়ের বন্ধন দৃঢ় হয়।  মাঠের পর মাঠের পাকা সোনালী ধানের চেহারা দেখে আনন্দে আত্মহারা হয়ে ওঠে কৃষক পরিবার। ধানের ভারি সোনালী শীষ দেখে আগামীর স্বপ্ন বুনে কৃষাণী ও তার পরিবার নিয়ে। পাকা ধান কাটার পর দেশের প্রতিটি কৃষকের আঙ্গিনা নতুন ধানে ভরে ওঠে। সেই সাথে পাকা ধানের গন্ধে মৌ মৌ করে ওঠে চারিদিক। ক’দিন আগেও অলস সময় কাটানো কৃষক পরিবারে ধান কাটা শুরু হলে দম ফেলার সময় থাকে না। একদিকে ধানের কাজ, অন্যদিকে  নতুন ধানের নতুন চাল, নতুন খাবার তৈরি করতে হয় নিজের ও আত্মীয়দের জন্য। সর্বোপরি যারা কষ্ট করে ধান ফলায়, সেই কৃষকের জন্য হলেও নবান্ন উৎসবে মেতে উঠতে হয়। 

প্রতি বছরের মত এবারও আমাদের মাঝে নবান্ন উৎসব এসেছে একটু ভিন্নতা নিয়ে। প্রকৃতিতে কেবল শীত পড়তে শুরু করেছে। তাই  নবান্ন উৎসব নিয়ে গ্রামের কৃষাণ-কৃষাণীর মাঝে তেমন উচ্ছ্বাস দেখা মিলছে না। যত প্রতিকূল অবস্থা হোক না কেন প্রতি বছরের মতো এবারও নবান্ন উৎসবে মেতে উঠেছে কৃষাণ-কৃষাণীর  সাথে এদেশের প্রতিটি সাংস্কৃতিমনা মানুষ। নতুন ধানের আটা করে বাংলার ঘরে ঘরে পিঠা-পুলি বানানো এবং খাওয়ার ধুম পড়েছে ক’দিন থেকেই। কুয়াশায় আচ্ছন্ন শীতের মিষ্টি রোদের সকালে শহরের প্রতিটি রাস্তার মোড়ে মোড়ে এরই মধ্যে কুসলি, ভাঁপা, চিতই পিঠা  নিয়ে বসেছে মৌসুমি বিক্রেতারা।  এরই মধ্যে সাংস্কৃতিক  অঙ্গনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজনে ব্যস্ত সময় পার করছেন সংগঠন কর্মীরা।

এদিকে ১ অগ্রহায়ণ উপলক্ষ্যে বিকেল সোয়া ৪টায় বগুড়া পুরাতন শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আমরা ক’জন শিল্পী গোষ্ঠী ও ঋদ্ধ সৃজন’র আয়োজনে নবান্নউৎসব ‘নতুন ধানে খই’ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। 

 

 

পোস্ট লিংক : https://karatoa.com.bd/article/146709