বগুড়ার শাজাহানপুরে জমির অধিগ্রহণের টাকা উত্তোলন নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

বগুড়ার শাজাহানপুরে জমির অধিগ্রহণের টাকা উত্তোলন নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার : শাজাহানপুর উপজেলার রহিমাবাদ এলাকার ফুল মাহমুদ গত ৩ নভেম্বর সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে গত ১১ নভেম্বর একই এলাকার বকুল ইসলাম পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছেন। মিথ্যা তথ্য দিয়ে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। তার বক্তব্য তথ্য খন্ডন করতেই আজ শনিবার (১৫ নভেম্বর) বগুড়া প্রেস ক্লাবে আবারও সংবাদ সম্মেলন করেন ফুল মাহমুদ।

এসময় লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ১৯৮৯ সালের ৭ অক্টোবর দলিলমূলে তার স্ত্রী ফাতেমা বিবি ও তার তিন বোনকে তাদের বাবা মুনছুর রহমান মন্ডল জমি হস্তান্তর করেন। রহিমাবাদ মৌজার বিশ্বরোড সংলগ্ন উত্তর দক্ষিণ লম্বালম্বি ফাতেমা বিবির স্বত্ব দখলীয় আড়াই শতাংশ সম্পত্তি হুকুম দখল হয়। অবশিষ্ট আড়াই শতাংশ এবং তৎসংলগ্ন তিন শতাংশ মোট সাড়ে ৫ শতাংশ জমিতে ফাতেমার গ্যারেজ রয়েছে।

ফাতেমার দখলীয় আড়াই শতক সম্পত্তির ক্ষতিপূরণের টাকার জন্য কবলা ক্রেতা বকুল ইসলামের আবেদনের প্রেক্ষিতে মিস কেস রুজু হয়। এদিকে উক্ত মিস কেসে নারগিস হোসেনদের প্রতি দলিল দাখিলের আদেশ হয়। নারগিস হোসেন দলিল দাখিল করতে ব্যর্থ হয়। দলিল দাখিলের বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে তদন্ত প্রতিবেদনের এক নোটিশ ফাতেমার নামে ১.৫৬ শতাংশ এবং দখলবিহীন ব্যক্তি নার্গিসের নামে দশমিক ৯৪ শতাংশ সম্পত্তি বাবদ প্রতিবেদনে দাখিল করেছে মর্মে জানা যায়।

এ ঘটনায় ফাতেমা বিবির স্বামী ফুল মামুদ বিগত ৩ নভেম্বর বগুড়া প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করলে তারই পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে বকুল হোসেন মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করেন বলে অভিযোগ করা হয়।

পোস্ট লিংক : https://karatoa.com.bd/article/146690